Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জড়াবেন না

অ্যাসাঞ্জের প্রতি ইকুয়েডরের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের আহ্বান

| প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের ইকুয়েডর দূতাবাসই গত পাঁচ বছর ধরে অ্যাসাঞ্জের বাসস্থান। উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে তার রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে না জড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ইকুয়েডরের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো। প্রসঙ্গত, এর আগে নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী গিলারমো লাসোর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ এনে তাকে দেশ ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে এ কথা জানায়। স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১২ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে ইকুয়েডরের দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন অ্যাসাঞ্জ। ইকুয়েডরের সেসময়কার প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরিয়াই ওই ব্যবস্থা করে দেন বলে খবরে বলা হয়। তবে এবারের নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী লাসো ও তার দল শুরু থেকেই অ্যাসাঞ্জের আশ্রয়ের বিরোধিতা করে আসছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে লাসো ঘোষণা দেন ক্ষমতায় এলে ৩০ দিনের মধ্যে অ্যাসাঞ্জকে উৎখাত করবেন। তবে এটা আপাতত অ্যাসাঞ্জের জন্য স্বস্তির কারণ যে, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেননি লাসো। প্রথম দফায় কোনও প্রার্থী প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট নিশ্চিত করতে না পারায় দ্বিতীয় দফায় ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বামপন্থী প্রার্থী লেনিন মোরেনো পেয়েছেন ৫১ শতাংশ ভোট। আর ৪৯ শতাংশ ভোট থেকে খানিক নিচে রয়েছেন লাসো। গত সোমবার নির্বাচনের ফলাফল জানার পর পরই টুইটারে অ্যাসাঞ্জ লিখেছেন, আমি লাসোকে (কর ফাঁকির লাখ লাখ অর্থ সাথে নিয়ে কিংবা না নিয়ে) ৩০ দিনের মধ্যে ইকুয়েডর ছাড়ার জন্য আন্তরিকভাবে আহ্বান জানাচ্ছি। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে মোরেনো বলেন, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের অবশ্যই (রাজনৈতিক আশ্রয়ের) শর্ত সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত। তার ইকুয়েডরের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জড়ানো উচিত নয়। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সাড়া জাগানো বিকল্প সংবাদমাধ্যম উইকিলিকস বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলতে সক্ষম হয় ২০১০ সালে। মার্কিন কূটনৈতিক নথি ফাঁসের মধ্য দিয়ে উইকিলিকস উন্মোচন করে মার্কিন সাম্রাজ্যের নগ্নতাকে। দুনিয়াজুড়ে আলোচনায় আসেন ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রগুলোর গোপন তথ্য উন্মোচনের মধ্য দিয়ে দুনিয়াব্যাপী আধিপত্যবাদবিরোধী মানুষদের প্রতীকী কণ্ঠস্বরে পরিণত হন তিনি। একটি ধর্ষণ মামলা দিয়ে ২০১০ সালে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের শেষের দিকে ইকুয়েডর সরকারের সঙ্গেও অ্যাসাঞ্জের খানিক টানাপোড়েন তৈরি হয়েছিল। মার্কিন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের কথা বলে গত অক্টোবরে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ব্যক্তিগত ইন্টারনেট ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ইকুয়েডর সরকার। গত বছর ১৮ অক্টোবর ইকুয়েডর কর্তৃপক্ষ অ্যাসাঞ্জের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার খবরটি নিশ্চিত করে এক বিবৃতি দেয়। ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কারণ হিসেবে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সা¤প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মার্কিন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারে সক্ষম এমন কিছু মূল্যবান নথি ফাঁস করেছে উইকিলিকস। বিবৃতিতে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতিকে শ্রদ্ধা করে ইকুয়েডর।’ তবে অ্যাসাঞ্জকে ইকুয়েডরে দেওয়া আশ্রয় বহাল থাকবে এবং তিনি নিরাপদ জায়গায় না পৌঁছানো পর্যন্ত তার জীবন ও শরীরকে অক্ষত রাখা হবে বলেও আশ্বস্ত করে কর্তৃপক্ষ। দ্য গার্ডিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ