পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখে ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করা হলে তাতে অসুবিধা কোথায়; বিএনপির কাছে তা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে যে চুক্তিই করা হোক, তাতে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ আগে দেখা হবে। দেশের স্বার্থে সরকার ‘হিমালয়ের মত’ অবিচল।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকার কুড়িলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের অগ্রগতি দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আগামী ৭ এপ্রিল তিন দিনের সফরে দিল্লী যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সেখানে দুদেশের মধ্যে ৩৪টি চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে। যার মধ্যে প্রতিরক্ষা বিষয়ক একটি চুক্তিও রয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির সমালোচনায় বিএনপি নেতারা বলে আসছেন, ভারতের সঙ্গে কোনো ধরনের প্রতিরক্ষা চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর দেশের জন্য বিপজ্জনক হবে।
বিএনপির বক্তব্যের এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিরক্ষা হোক, সামরিক হোক, অসামরিক হোক, যে কোনো চুক্তিই হোক, আমার স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, আমার জাতীয় স্বার্থ যদি সমুন্নত থাকে, যদি আমি এসব অক্ষুন্ন রেখে চুক্তি করি, অসুবিধা কী? প্রতিরক্ষা যদি জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন হয়-সে চুক্তিও আমি করব।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা আমাদের নীতিগত দিক থেকে আমাদের স্বার্থের প্রশ্নে হিমালয়ের মতো। বাংলাদেশের স্বার্থ, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব আমাদের কাছে সবার আগে। আমার মনে হয়, বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে-শেখ হাসিনা কখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ববিরোধী কোনো চুক্তি কারও সঙ্গে করবেন না।
বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, তারা সবসময় কর্মসূচির হুমকি দিলেও তাদের কর্মসূচির সঙ্গে ‘জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা’ নেই। গত আট বছর তো দেখলাম, এই বছর না ওই বছর, রোজার ঈদ, কোরবানির ঈদ-দেখলাম না তো কোনো আন্দোলনে তারা সফল হয়েছে। তারা কিছু করতে পারবে এটা আমার বিশ্বাস হয় না।
তিস্তা চুক্তির বিষয়ে এক প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, গঙ্গা চুক্তি ও ছিটমহল বিনিময় যেহেতু হয়েছে, সেহেতু তিস্তা নিয়েও তিনি আশাবাদী।
তিনি বলেন, তিস্তা চুক্তির অগ্রগতি হয়েছে, আরও হবে। এটা ম্যাটার অব টাইম। এটা এমনও হতে পারে এখন না হয়ে কিছুদিন পরেও হতে পারে। তাদেরও (ভারতের) কিছু অভ্যন্তরীণ ব্যাপার আছে। সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয় তিস্তা চুক্তির অগ্রগতি যথেষ্ট হয়েছে। চুক্তি সম্পাদন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
সড়কমন্ত্রী জানান, অর্থায়ন জটিলতায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ প্রায় ছয় মাস পিছিয়ে গেছে। সেই জটিলতা কাটায় এখন আবার কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত অংশের কাজ ২০১৮ সালে শেষ করার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে কাদের বলেন, বনানী পর্যন্ত প্রায় ৫০ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। আশা করছি, দুই সপ্তাহের মধ্যে ফান্ডিং প্রক্রিয়া শুরু হলে কাজ আরও গতি পাবে। এ প্রকল্পের কাজ উড়ে যায়নি। আমরা যে কোনোভাবে এটা এগিয়ে নিতে চাই।
এদিকে, গতকাল সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিস উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের একইদিনে তিন মেয়রকে বরখাস্তের ঘটনা রাজনীতিতে একটি স্বভাবিক ঘটনা বলে মন্তব্য করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের নতুন ওই কার্যালয়টি উদ্বোধন করা হয়। এই কার্যালয় থেকেই দলের আগামী নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, মেয়র বরখাস্তের ঘটনা ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন বা বিব্রত হওয়ার মতো কোনও ঘটনা নয়। আমি আগেও বলেছি বরখাস্তের ঘটনা প্রধানমন্ত্রী বা হাইকমান্ড জানতেন না। একটা মন্ত্রণালয়ের কোনও সিদ্ধান্ত থাকতেই পারে, এটা সেই মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার, তারাই এর জবাব দেবেন। বিব্রত বা ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার কথা মনে হলে দল সামনে এগোবে না, দল পেছনেই থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনার বিষয়ে দলের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সংসদের মেয়াদ ২০১৯ সালের ১২ জানুয়রি পর্যন্ত। এর পূর্ববর্তী অথবা পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে। এটা সংবিধানেই বলা আছে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জিতে বিএনপি মনে করছে তারা সারা দেশ জয় করে ফেলেছে এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জয় শুরু হয়েছে নারায়ণগঞ্জ দিয়ে, কুমিল্লা দিয়ে নয়। কুমিল্লায় আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিলো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, আমরা সেটা করতে পেরেছি। আমাদের দলে কিছু বিশৃঙ্খলা ছিলো, সেগুলো সমাধানে আমরা কাজ করছি। আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দলে যে নেতৃত্ব এসেছে তাতে করে দলীয় নেতাকর্মী, এমনকি জনগণের মধ্যে জাগরণ তৈরি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।