Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতের জন্য বিলম্বিত হচ্ছে চুক্তি স্বাক্ষর

| প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদার করতে চীনের নেতৃত্বে রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) চুক্তিতে আবদ্ধ হতে যাচ্ছে এশিয়ার ১৬টি দেশ। তবে ভারতের দোদুল্যমান মনোভাবের কারণে আরইসিপির বাস্তবায়ন বিলম্বিত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে গেছে। মার্কিন নির্বাচনে জয়লাভের পর নিজস্ব স্বার্থরক্ষার জন্য টিপিপি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরবর্তীতে টিপিপির অন্তর্ভুক্ত এশিয়া-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের ১২টি দেশ আরসিইপি বাস্তবায়নে গুরুত্বারোপ করে। বিশ্বের ৩৫০ কোটি মানুষের আবাসস্থল আরসিইপিভুক্ত ১৬টি দেশের জিডিপির পরিমাণ সাড়ে ২২ লাখ কোটি ডলার। তবে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে টিপিপির মতো জোরালো প্রভাব বিস্তার না করলেও এশিয়ার অসম অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করবে আরসিইপি। চলতি বছরের মধ্যেই চুক্তিটি চ‚ড়ান্তকরার ইঙ্গিত দিয়েছে আরসিইপির উদ্যোক্তা দেশ চীন। তবে আরসিইপিতে ভারতের অবস্থানের কারণে বর্তমানে চুক্তিটির প্রারম্ভিক গঠন বিন্যাসের দৃঢ়তা হ্রাস পাচ্ছে। সেসঙ্গে বিলম্বিত হচ্ছে এর চ‚ড়ান্তকরণ প্রক্রিয়া। একদিকে চীনা পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ছিটকে পড়ার আশঙ্কায় আরসিইপি বাস্তবায়নে অগ্রসর হতে অনিচ্ছা প্রকাশ করছে ভারত। অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী আইটি খাতে কর্মরতদের গতিশীলতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টায় আরসিইপি সহায়ক ভ‚মিকা পালন করবে বলে ভারত তা সরাসরি প্রত্যাখ্যানও করছে না। বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে বরাবরই সাবধানতা অবলম্বন করে ভারত। বাণিজ্য চুক্তিতে দিল্লির সাবধানী মনোভাবের কারণেই হ্রাসকৃত শুল্কে চীনা পণ্য আমদানিতে আগ্রহী নয় ভারত। ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে চীনের চেয়ে বেশ অনেকটা পিছিয়ে থাকা ভারত এ চুক্তির দ্বারা কতটা লাভবান হবে, তা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। কারণ, আরসিইপি বাস্তবায়িত হলে চীনা পণ্য দেদার ভারতে প্রবেশ করলেও চীনা বাজার ধরতে হিমশিম খাবে দেশটি। এদিকে এরই মধ্যে ভারতে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ৫ হাজার ২০০ কোটি ডলার। চীন ছাড়াও আরসিইপিভুক্ত জাপান, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে ভারতের। এদিকে এইচ ওয়ানবি ভিসা কড়াকড়ি করার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এতে ভারতের আইটি খাতের কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্র গমনে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় বিকল্প পথ হিসেবে আরসিইপির কথা বিবেচনা করছে ভারত। তবে বিশেষজ্ঞরা জানান, শেষ অবধি ভারত যদি আরসিইপিতে স্বাক্ষর করেও, এ চুক্তি দ্বারা খুব একটা লাভবান হবে না দেশটি। আরসিইপির শর্তাবলী পরিবর্তনে বাকি ১৫টি দেশ যদি নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকে, তবে ভারত আরসিইপিতে অন্তর্ভুক্ত হবে না বলে মনে করেন ওয়াশিংটনের ইউএস-ইন্ডিয়া পলিসি স্টাডিজের প্রধান রিচার্ড রোসো। তবে আরসিইপির বিষয়ে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানান দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। বøুমবার্গ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ