Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পর্যটন বিকাশে ভূমিকা রাখবে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

| প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার অফিস : ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের পর কক্সবাজারেই হচ্ছে দেশের ৪র্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। রানওয়ের জায়গা বাড়ানো ও শক্তিশালী করার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ২০১৮ সালের মধ্যে কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে চালু হওয়ার কথা রয়েছে। অন্তর্জাতিক রুটের বিমান উঠানামা শুরু হলে বিদেশি পর্যটকদের যাতায়াত বাড়বে। তখন কক্সবাজারের পর্যটন বিকাশে ভূমিকা রাখবে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন মহাপরিকল্পনার আওতায় কক্সবাজার হতে চলেছে বিশ্বের অন্যতম উন্নত এলাকা। সাগর পথে এবং আকাশ পথে বিশ্ব পর্যটনের সাথে সরাসরি যুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় আন্তর্জাতিক মানে উন্নিত হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দর।
কক্সবাজারের পর্যটন বিকাশে ভূমিকা রাখবে এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দ। ইতোমধ্যেই কক্সবাজার বিমানবন্দরে রানওয়ে সম্প্রসারণসহ আন্তর্জাতিক মানের ইন্টেরিয়ম প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক রুটের বিমান উঠানামা করবে কক্সবাজার বিমানবন্দরে। ইতোমধ্যে বিমান বন্দর এলাকায় বসবাসকারী ৪ হাজার পরিবারের জন্য শহরতলীর খুরুশকুলে আশ্রয়ণ প্রকল্পে গৃহনির্মাণ কাজও শুরু হয়েছে।
বর্তমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরে ডমেস্টিক ইয়ারলাইন্স সুবিধা থাকলেও আন্তর্জাতিক মানের কোনো সুবিধা নেই। জানাগেছে, ৯২৬ একর ভূমির উপর ১২’শ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নিত করণের কাজ এগিয়ে চলছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজারে যেতে হয় বিদেশি পর্যটকদের। বিদেশী পর্যটকরা যেন সরাসরি কক্সবাজার আসতে পারেন এবং কক্সবাজার হয়ে যেন যেকোন দেশে যেতে পারেন সে লক্ষ্যে বিদ্যমান টার্মিনাল ভেঙে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।
রান ওয়ে সম্প্রসারিত হবে ৬ হাজার ৭৯০ ফুট থেকে ৯ হাজার ফুট পর্যন্ত। প্রায় ১০ একর জমিতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আদলে দো’তলা টার্মিনাল ভবন নির্মিত হচ্ছে। ১ লাখ ১০ হাজার বর্গফুটের এই প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে একসঙ্গে এক হাজার যাত্রী উঠানামা করতে সক্ষম হবে জানান সংশ্লিষ্টরা।
২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদে ইন্টেরিয়ম প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা। সরকারি খাতে উন্নয়ন প্রকল্প হিসেবে অর্থের সংস্থান করা হচ্ছে। উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে ধাপে ধাপে এই ব্যয় বৃদ্ধিরও চিন্তাও রয়েছে বলে জানাগেছে সরকারের।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের ম্যানেজার সাধন কুমার মোহন্ত বলেন, ‘ক্রমেই বাড়ছে কক্সবাজার বিমানবন্দরের চাহিদা। সব সময় কক্সবাজারে থাকে দেশী-বিদেশি পর্যটকের ঢল। কিন্তু পর্যটকরা ঢাকা হয়ে কক্সবাজারে আসেন। ফলে অনেক সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাদের। এসব বিবেচনা করেই আন্তর্জাতিক মানের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল করছে সরকার। এর কাজ শেষ হলে পর্যটকদের আর ঢাকা হয়ে নয়, সরাসরি কক্সবাজারে আসতে পারবেন পযটকরা।’
তিনি আরও বলেন ‘বর্তমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরে শুধু মাত্র ডমেস্টিক ফ্যাসিলিটিজ রয়েছে। বিদ্যমান টার্মিনালটি রেখে উন্নয়ন করাও সম্ভব নয়। তাই বিদ্যমান টার্মিনাল ভেঙেই নতুন করে নির্মাণ করা হবে। যেখানে থাকবে সকল ধরনের উন্নত মানের সুবিধা’। ‘বিমানবন্দরের সিকিউরিটিও ধাপে ধাপে আন্তর্জাতিক মানের করা হবে। এ লক্ষ্যে পরামর্শকদের চাহিদা অনুসারে উন্নতমানের স্ক্যানারও কেনা হবে। থাকবে উন্নত মানের ট্যাক্সিওয়ে, উড়োজাহাজ পার্কিংসহ ভিআইপিদের জন্য পার্কিং সুবিধা’।
প্রকল্পের পরিচালক আমিনুল হাসিব জানান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আদলে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালটি নির্মিত হবে। একই সময়ে ৫০০ যাত্রী দেশের বাইরে যেতে পারবেন এবং ৫০০ যাত্রী বিদেশ থেকে দেশে আসতে পারবেন। বোয়িং ৭৭৭-এর মতো বড় বড় উড়োজাহাজ অবতরণের সকল ধরনের অবকাঠামোও থাকবে নতুন এই প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে। অন্তর্বর্তীকালীন আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরে রূপ নেবে কক্সবাজার বিমানবন্দর’।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পর্যটন

৩১ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ