পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক : ভোগ্যপণ্যের বাজারে দীর্ঘদিন পর কিছুটা নিম্নমুখী হয়েছে মসলাজাতীয় কাঁচাপণ্য রসুনের দাম। গত ১৫ দিনে খাতুনগঞ্জে মানভেদে পণ্যটির দাম কমেছে কেজিতে ১০-১৫ টাকা। এত দিন চীনা রসুনের একচেটিয়া ব্যবসা থাকলেও দু’তিন সপ্তাহ ধরে নতুন মৌসুমের দেশী রসুন বাজারে আসায় পণ্যটির দাম নিম্নমুখী হয়েছে। তবে স্বাদ ও মান ভালো হওয়ার পরও দেশী রসুনের চেয়ে তিনগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে আমদানিকৃত চীনা রসুন।
ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি নতুন মৌসুমের দেশী রসুন বিক্রি হয়েছে ৫০-৬৫ টাকার মধ্যে। মৌসুমের শুরুর দিকে অর্থাৎ দুই সপ্তাহ আগে একই মানের রসুন বিক্রি হয়েছিল ৭০-৭৫ টাকায়। সেই হিসাবে ১৫ দিনের ব্যবধানে দেশী রসুনের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি চীনা রসুন বিক্রি হয়েছে ১৭৮-১৮০ টাকায়। দুই মাস আগে বাজারে একই মানের রসুন বিক্রি হয়েছে ৯০-১০০ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ দুই মাসের ব্যবধানে পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি চীনা রসুনের দাম বেড়েছে ৯০ টাকা।
খাতুনগঞ্জের কাঁচাপণ্য ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ভোগ্যপণ্যের বাজারে দীর্ঘদিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে চীনা রসুনের দাম। চলতি অর্থবছরে প্রথম আট মাসে খাতুনগঞ্জে চীনা রসুনের দাম ছিল ১৫০-২০০ টাকার মধ্যে। এ সময় দেশী রসুনের সরবরাহ সংকটে একচেটিয়া মুনাফা করেছেন চীনা রসুন আমদানিকারকরা। খাতুনগঞ্জের কাঁচাপণ্য ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী বলেন, গত বছরের বেশিরভাগ সময় আন্তর্জাতিক বাজারে (চীন) রসুনের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। বুকিং দরসহ খাতুনগঞ্জের বাজারে পৌঁছা পর্যন্ত বর্তমানে প্রতি কেজি চীনা রসুনের দাম পড়ছে ১২০-১৩০ টাকার বেশি। আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং দর বেড়ে যাওয়ায় চাহিদার তুলনায় রসুনের আমদানি হয়েছে কম। এতে সারা বছর দাম ছিল অস্থির। তবে নতুন মৌসুমের দেশী রসুনের সরবরাহ চাপে চীনা রসুনের দামেও কিছুটা প্রভাব পড়েছে।
এদিকে ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে দেড়-দুই মাস ধরে ভারত থেকেও রসুন আমদানি হয়েছে। খাতুনগঞ্জে আকারভেদে প্রতি কেজি নতুন মৌসুমের ভারতীয় রসুন বিক্রি হয়েছে ৮০-১৫০ টাকায়। এর মধ্যে ছোট আকারের রসুন ৮০-১০০ ও বড় আকারের রসুন ১৩০-১৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। ১৫ দিন আগে বড় আকারের ভারতীয় রসুন ১৬০ টাকা ও ছোট রসুন ১০০ টাকার উপরে বিক্রি হতো। খাতুনগঞ্জের কাঁচাপণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান একতা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শাহনেওয়াজ খান বলেন, দেশী পণ্য হলেও বাজারে দেশী রসুনের চাহিদা কম। শুধু আকারে ছোট হওয়ায় রান্নার সময় ঝামেলা মনে করে বেশিরভাগ ভোক্তা দেশী রসুন ব্যবহার করেন না। অথচ দেশী রসুনের গুণগতমান চীনা রসুনের তুলনায় অনেক ভালো। কিন্তু চাহিদা কম থাকায় চীনা রসুনের চেয়ে তিন গুণ কম দামে বিক্রি হচ্ছে দেশী রসুন। যেখানে প্রতি কেজি চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৮৫ টাকায়, সেখানে দেশী রসুন বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫০-৬৫ টাকায়।
বিষয়টি স্বীকার করে অন্য এক কাঁচাপণ্য ব্যবসায়ী বলয় কুমার পোদ্দার বলেন, চার-পাঁচদিন ধরে নতুন মৌসুমের দেশী রসুন বাজারে আসছে। দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে আসা এসব রসুন এখনো কাঁচা। বেশি দিন সংরক্ষণ করা যাবে না। তাই বাজারে দেশী রসুনের চাহিদা কম। অন্যদিকে চীনা রসুন বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায় বলে এ রসুনের চাহিদা প্রচুর। এতে বিশ্ববাজারের দাম ওঠা-নামা ও আমদানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে রসুনের বাজার। Ñওয়েবসাইট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।