Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

প্রাচীন যুগের মূল্যবান পুরাকীর্তি ধ্বংস

| প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক: ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল প্রায় আড়াই বছর ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নিয়ন্ত্রণে থাকার সময় শহরটির জাদুঘরে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে জেহাদি গোষ্ঠীটি। স¤প্রতি ইরাকের সেনাবাহিনী মসুল থেকে আইএসকে হটিয়ে দিয়েছে। বিশ্বের সামনে উঠে এসেছে জাদুঘরের ধ্বংসচিত্র। বিবিসির খবরে বলা হয়, শিরকের কথা বলে মসুল জাদুঘরে থাকা প্রাচীন আসিরিয়ান ও সুমেরীয় ঐতিহ্যবাহী অমূল্য মূর্তিগুলো ভেঙে ফেলেছে আইএস। মসুল জাদুঘরে পাথরে খোদাই করা কিউনিফরম হরফে লেখা ছিল। কিউনিফরম হরফকে সবচেয়ে প্রাচীন বর্ণমালার একটি বিবেচনা করা হয়।
পুরাকীর্তি ধ্বংসের পাশাপাশি মসুলে ইরাকি বাহিনী ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বেসামরিক নাগরিকদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে ইসলামিক স্টেট বা আইএস। গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে এমনটা জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইরাকি সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে থেকে প্রতিবেদন করছে বিবিসি। বিবিসির প্রতিবেদন নাফিসেহ কুনাভার্দ আইএস জঙ্গিদের বেসামরিক নাগরিকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ২০১৬ সালেও মসুলে বেসামরিকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছিল জেহাদিরা। জাতিসংঘ জানিয়েছিল, চলমান সংঘাতে মসুলে প্রায় পনের লাখ মানুষ আটকা পড়েছেন। নিজেদের বাঁচাতে আটকে পড়া মানুষদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে জঙ্গিরা। ২০১৪ সালের জুনে আইএস জঙ্গিরা মসুল নগরী দখল করে নেয়। ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই নগরীতে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, প্রায় পাঁচ হাজার বছরের পুরনো এই কিউনিফরম হরফ মানব সভ্যতার ইতিহাসে অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে বলে ধারণা করা হয়। ২০১৪ সালে মসুল দখল করে আইএস। জঙ্গি গোষ্ঠীটি মসুল জাদুঘরে ভাংচুরের ভিডিও ধারণ করে তা অনলাইনে প্রকাশ করেছিল। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া জাদুঘরটিতে এখন শূন্যতা ছাড়া আর কিছুই নেই। এখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ভেঙে ফেলা মূর্তিগুলোর টুকরো। অনেক শিল্পকর্ম লুট করা হয়েছে। এটি শুধু একটি সংস্কৃতিকে ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস করা নয়, যদিও এখানে এটিই করা হয়েছে। তারা একটি সভ্যতা, একটি ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে নতুন ইতিহাস গড়তে চেয়ছিল। যে বিষয়গুলো বিশ্বের এই অঞ্চলটিকে অন্যান্য অঞ্চল থেকে বিশেষ করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, আইএস সেগুলোই ধ্বংস করে ফেলেছে। এখন উচুঁ ছাদ, পিলার আর বিশাল শূন্যতা সেখানে পড়ে রয়েছে। বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ