Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সিলেটে হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সমন

প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সিলেট অফিস : ‘ভুল চিকিৎসায়’ সাংবাদিকপুত্রের অঙ্গহানির ঘটনায় সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ মামলায় হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সমন ইস্যু করেছেন আদালত। সিলেট যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক রেজাউল করিম চৌধুরী এ সমন ইস্যু করেন। আগামী ২৮ মার্চ সমন ফেরতের তারিখ ধার্য্য করেছেন আদালত। মামলার বাদী বাংলাভিশনের সিলেট অফিসের স্টাফ ক্যামেরাপার্সন বদরুর রহমান বাবরের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ তাজ উদ্দিন বলেন, আদালত মামলায় অভিযুক্ত সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান, এমডি, ডাক্তারসহ ৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারির বিরুদ্ধে সমন ইস্যু করেছেন।
যাদের বিরুদ্ধে সমন ইস্যু করা হয়েছে, তারা হচ্ছেন- সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. ওয়ালী তছর উদ্দিন, ম্যানেজিং ডাইরেক্টার মো. মজম্মিল আলী (সানু), পরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. তোজাম্মেল হক, সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিক্স ও সার্জারি বিভাগের রেজিস্টার ডা. জাবের আহমদ, অর্থপেডিক্স সার্জারি বিভাগের এমও ডা. তানভীর আহমদ চৌধুরী, ইন্টার্ন শাফিনাজ মোস্তফা, অর্থপেডিক্স ও সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. কাজী মো. সেলিম, অর্থপেডিক্স ও সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মাহমুদ হাসান, ব্রাদার তারেক।
গত মঙ্গলবার সিলেট টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি বদরুর রহমান বাবর তার শিশুপুত্র সাফির চিকিৎসায় অবহেলার দায়ে ৫০ লাশ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবিতে মামলা করেন। প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৮ জানুয়ারি বাসার দরজার হেজবল্টে চাপ লেগে আঘাতপ্রাপ্ত হয় সাংবাদিক বাবরের শিশুপুত্র সাফি। ডানহাতের তর্জনিতে রক্তক্ষরণ শুরু হলে বাসার পার্শ্ববর্তী সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে ‘চিকিৎসার অবহেলায়’ সাফির আঙ্গুলে গ্যাংরিন হয়। পরবর্তীতে আঙ্গুলটি কেটে ফেলতে হয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক বাবর ভুল চিকিৎসায় অঙ্গহানির বিচার চেয়ে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নুরুল আলমের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ তদন্ত কমিটি চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ২০১৫ সালের ২৮ জুলাই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিলেটে হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সমন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ