মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ইসলামিক স্টেট আইএস এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইলেকট্রুনিক ডিভাইসে বিস্ফোরক লুকিয়ে রাখার অভিনব পদ্ধতি বের করেছে। এতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পক্ষে তা শনাক্ত করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এ দাবি করেছেন। মার্কিন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা এফবিআই’র বরাত দিয়ে সিএনএন এ খবর দিয়েছে। খবরে আরও বলা হয়েছে, নতুন পদ্ধতিতে তৈরি ল্যাপটপ বোমা বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত যন্ত্রপাতিকে ফাঁকি দিয়ে পাচারের বিষয়ে পরীক্ষা করছে সন্ত্রাসীরা। এতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে বোমাসহ সন্ত্রাসীদের বিমানে ওঠার সুযোগ বেড়েছে বলেও খবরে উল্লেখ করা হয়। দৃশ্যত এ কারণেই মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার আট দেশের ১০ বিমানবন্দর থেকে ল্যাপটপসহ বড় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে বিমানে ওঠার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। কয়েক মাস ধরে সংগৃহীত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে খবরে দাবি করা হয়। গত মাসের গোড়ার দিকে মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বা ডিএইচএস এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে ল্যাপটপসহ বড় ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে উড়োজাহাজের কেবিনে ওঠার ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবত করা হয়।
অপর খবরে বলা হয়, ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে বিমান হামলার মুখে নিহত হয়েছেন জিহাদি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা আয়াদ হামিদ খালাফ আল-জুমাইলি। তিনি সংগঠনটির যুদ্ধমন্ত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের তথ্য মতে, সিরিয়া সীমান্তে আল-কায়েম এলাকায় মার্কিন বাহিনীর সহায়তাপুষ্ট ইরাকের সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হন জুমাইলি। তবে কবে এ হামলা চালানো হয়েছে এবং কোথায় নিহত হয়েছেন সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। আইএসের সর্বোচ্চ নেতা আবু বকর আল বাগদাদি। সাংগঠনিকভাবে তার পরেই ছিল জুমাইলির অবস্থান। তিনি পশ্চিমাদের কাছে আবু ইয়াহিয়া নামে পরিচিত ছিলেন। যুদ্ধবিদ্যা সম্পর্কে তার অগাধ জ্ঞানের কারণে তাকে আইএসের যুদ্ধমন্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করত সন্ত্রাস বিরোধী পশ্চিমা জোট। তবে জোটের পক্ষ থেকে তার মৃত্যুর বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হয়নি। নিহত জুমাইলি আইএসের গোয়েন্দা ও জননিরাপত্তা বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে সাদ্দাম হোসেন সরকারের অধীনে ইরাকের সেনাবাহিনীর হয়ে তিনি ফালুজায় একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দেশটিতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযান শুরু হলে তিনি চাকরি ছেড়ে আইএসে যোগ দেন। সিএনএন, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।