পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা ঃ নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাধারণ কৃষকরা কলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এর ফলে অর্থনৈতিক সচ্ছলতাও এসেছে তাদের। অর্থকরী ফসল হিসেবে ধান, পাট, আলু-মরিচের পাশাপাশি এই কলা চাষ এখানে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উপজেলার মাটি দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ হওয়ায় কৃষকরা চাষাবাদের ক্ষেত্রে ধান আবাদকেই প্রাধান্য দিয়ে আসছে। কৃষকরা এখন পুরাতন ধ্যান-ধারণা পাল্টে লাভজনক ফসল হিসেবে কলা চাষে ঝুঁকে পড়ছে। এই উপজেলায় অমৃত সাগর, সবরী অনুপম, চাম্পা, কবরী নেপালী, মোহন ভোগ মানিকসহ বিভিন্ন জাতের কলা চাষ হয়ে থাকে। তবে সবরী, মানিক মেহের, সাগর চাম্পা ও নেপালী সাগর কলার চাহিদা অনেক বেশি। কারণ হিসাবে জানা গেছে ধান, পাট ও আখসহ প্রচলিত অন্যান্য ফসলের তুলনায় কলা চাষে শ্রম ব্যয় খুবই কম। বিক্রির ক্ষেত্রেও ঝামেলা নেই। কলার বাজার দরেও সহজে ধস নামে না। কলার চারা বছরে তিন মওসুমে রোপণ করা যায়। কলার চারা রোপণ করার ৯-১১ মাসের মাথায় কলার গাছে কলা ধরে এবং পাকে। প্রতিবিঘা জমিতে সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ কলার চারা রোপণ করা যায়। প্রথম মওসুম মধ্য জানুয়ারী থেকে মধ্য মার্চ, দ্বিতীয় মওসুম মধ্য মার্চ থেকে মধ্য মে এবং তৃতীয় মওসুম মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে মধ্য নভেম্বর। একবার কলার চারা রোপণ করলে ২/৩ মওসুম চলে যায়। কলা চাষীরা জানান, এক একর জমিতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ করলে তাদের আবাদী কলা বিক্রি হয়ে থাকে এক থেকে সোয়া লাখ টাকায়। বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের কাঙ্গালপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল হামিদ জানান, আমি ২ একর জমিতে কলা চাষ করেছি, আশাকরি ভালো দাম পাবো। বেশ কয়েকজন কৃষক জানায়, তাদের উৎপাদিত কলা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করা হচ্ছে। ফলে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন হতদরিদ্র কৃষকরা। কলা একটি লাভজনক ফসল। জমিতে কলা চাষ করলে ওই জমিতে কলাসহ অন্যান্য সাথী ফসলও চাষাবাদ করা যায়। বর্তমানে উপজেলার কামারপুকুর, বাঙ্গালীপুর, বোতলাগাড়ী, হাজারীহাট ও শ্বাসকান্দরসহ বিভিন্ন গ্রামে কলার চাষ হচ্ছে। কলা চাষ করে এই উপজেলার অনেক কৃষক আজ স্বাবলম্বী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।