Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সীমান্তের উভয় পাশে গরু গোশতের দামের পার্থক্য ২৮০ টাকা

| প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আব্দুল হামিদ, কলারোয়া (সাতক্ষীরা) থেকে : ছোট একটা নদীর এপাশে গরুর গোশতের কেজি ৪৪০ টাকা, অপর পাশে ভারতে সেই গরুর গোশতের কেজি বাংলাদেশী মুদ্রায় ১৬০ টাকা। কলারোয়া সীমান্তের সোনাই নদীতে গোসল করতে আসা ভারতের হাকিমপুর, দরকান্দা ও আশশিকড়ী গ্রামের এবং ইছামতি নদীতে গোসলে আসা ভারতের কালাঞ্চি গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভারতীয় নাগরিকের সংগে কথা বলে গরুর গোশতের দামের এই ব্যাপক পার্থক্যের কথা জানা গেছে। এই ছোট নদীর নাম সোনাই। কলারোয়া সীমান্তে সোনাই ও ইছামতি নদীর অবস্থান। সোনাই নদীর মধ্যস্রোত ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বিভক্তির রেখা। এই বিভক্তি রেখার ওপারে পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগণা জেলার হাকিমপুর, বিথারী, আমুদিয়া বাজার ও সংলগ্ন গ্রামগঞ্জে সুস্থ-সবল নীরোগ গরুর গোশতের কেজি ভারতীয় মুদ্রায় ১৩০ রুপি অর্থাৎ বাংলাদেশী মুদ্রায় ১৬০ টাকা কেজি। আর বিভক্তি রেখার এপাশে অর্থাৎ সীমান্ত সংলগ্ন বাংলাদেশের হাট বাজার ভাদিয়ালী, রামকৃষ্ণপুর, গয়ড়া, চান্দুড়িয়ায় গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকা কেজি দরে। এরমধ্যে ভারতের হাকিমপুর বাজার নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থিত। বাংলাদেশের গাড়াখালী বাজার থেকে ভারতের হাকিমপুর বাজারের দূরত্ব আনুমানিক ১শ’ গজ। এই হাকিমপুর বাজারে গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ১৩০ রুপি অর্থাৎ বাংলাদেশী মুদ্রায় ১৬০ টাকা কেজি। হাকিমপুর বাজারের এপারে বাংলাদেশের গাড়াখালী বাজারে ভাদিয়ালী নদীর পাড়ে ৪৪০ টাকায় সেই গোশত বিক্রি হচ্ছে। বরাবর সীমান্ত পথে ভারত থেকে গরু পাচার হয়ে আসলেও কেজি প্রতি দামের পার্থক্য ২৮০ টাকা হওয়ার পিছনের কারণ খুঁজে নিরসনের দাবী করেছে জনসাধারণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সীমান্ত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ