Inqilab Logo

রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ : ট্রাম্প

চীনের প্রতি আগের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের ইঙ্গিত

| প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন জিনপিং এবং তার এ সফরকে সামনে রেখে এমন মন্তব্য করলেন ট্রাম্প। এ থেকে চীনের প্রতি ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের ইঙ্গিত সুস্পষ্ট। এনডিটিভি অনলাইনের এক খবরে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ফ্লোরিডায় ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ফার্স্টলেডি মেলানিয়া চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং তার স্ত্রীকে বৃহস্পতিবার ডিনারের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। দক্ষিণ চীন সাগর, তাইওয়ান, উত্তর কোরিয়া এবং বিশ্বব্যাপী বানিজ্যে আধিপত্য নিয়ে দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ ও প্রতিদ্ব›িদ্বতা রয়েছে। যা নিয়ে নিয়মিতই ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্কে টানাপড়েনের সৃষ্টি হয়। দুই নেতার মধ্যে কি কি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে সে বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কিছু জানানো হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে এক পার্শ্ব আলোচনায় সাংবাদিকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, এক বিশাল বৈঠকের জন্য শিগগিরই ফ্লোরিডায় মার-অ্যা-লাগো অবকাশকেন্দ্রে আসবেন জিনপিং। এ অবকাশকেন্দ্রকে ট্রাম্পের ‘দক্ষিণাঞ্চলীয় হোয়াইট হাউস’ বলা হয় এবং প্রকৃত পক্ষে তা-ই। ট্রাম্প বলেন, এমন কিছু ঘটতে যাচ্ছে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশেষ ঘটনা। প্রতিনিধিদল ও তার সঙ্গে বৈঠকের জন্য আমি মুখিয়ে আছি। আর আমরা সবাই দেখতে পারব কী ঘটছে। কারণ চীনের মুদ্রানীতি, মূল্যস্ফীতির ওঠা-নাম এবং দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে কঠোর আপত্তি রয়েছে ট্রাম্পের। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এসব বিষয়ে বহু টুইট করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের নিজস্ব বিশালবহুল অবকাশকেন্দ্র মার-অ্যা-লাগোয় ৬ ও ৭ এপ্রিল ট্রাম্প ও জিনপিংয়ের হবে। এ বৈঠকের খবর বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে। বর্তমান বিশ্বের শীর্ষ দুই শক্তিধর কিন্তু প্রতিদ্ব›দ্বী রাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার ফলাফল কী হয়, তা দেখার অপেক্ষায় আছে গোটা বিশ্ব। চীনের বাণিজ্যনীতির তীব্র সমালোচক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এরই মধ্যে বিতর্কিত মন্তব্য ও পদক্ষেপ নিয়ে চীনা সরকারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছেন। তবে সম্প্রতি সুর পাল্টেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। এদিকে,যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস আর বৈদেশিক বাণিজ্যের অপব্যবহার বন্ধে দুইটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এমন সময় এসব আদেশ দিলেন, যখন আর কয়েকদিন পর চীনা প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন। ট্রাম্প বলছেন, এসব পদক্ষেপের ফলে আবার আমেরিকায় পণ্য উৎপাদনের পরিবেশ ফিরে আসবে। বিশেষ করে দেশটির যে বিশাল বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, বিশেষ করে চীনের সঙ্গে, তা মোকাবেলায়ও সহায়তা করবে। এর ফলে অর্ধ লক্ষ কোটি ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি মোকাবেলা করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এসব আদেশের একটিতে, আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। অপর আদেশে বৈদেশিক বাণিজ্যের অপবব্যহার আর শুল্ক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আইনে এমন কিছু কড়াকড়ি আরোপ করতে পারেন, যার ফলে, বিদেশী পণ্য নির্মাতারা আর তাদের পণ্য অন্যায্য দামে আমেরিকায় বিক্রি করতে পারবে না। সামনের সপ্তাহে চীনের প্রেসিডেন্ট শী জিনপিং এর সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগেই এসব আদেশ জারি করা হলো। যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, চীন তাদের লক্ষ্য নয়। বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ