Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মোহাম্মদ হানিফের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী আজ

| প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র ও জনতার মঞ্চের রূপকার ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হানিফের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৪৪ সালের এইদিনে হানিফ পুরাতন ঢাকার সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আবদুল আজিজ, মাতা মুন্নি বেগমের পরিবারে তিনি ছিলেন সবচেয়ে ছোট ছেলে। তিনি ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর রাতে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে ৬২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
তার ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন কবর জিয়ারত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করবে। এ নেতার একমাত্র পুত্র ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন তার পিতার জন্মবার্ষিকীতে দেশবাসীর দোয়া কামনা করেছেন।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ ও স্নেহভাজন এ রাজনীতিক যৌবনের শুরু থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অবিচল ছিলেন। মোহাম্মদ হানিফের সবচেয়ে বড় অর্জন তিনি সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর খুব কাছে থেকে এবং তার মাধ্যমেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছে। উদার চিন্তাচেতনা, প্রখর ব্যক্তিত্ব ও সংবেদনশীলতা হানিফের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে করেছে উজ্জ্বল এবং তিনি দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষের প্রিয় নেতায় পরিণত হয়েছিলেন। ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন।
মোহাম্মদ হানিফ ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পান। এ সময় ছয়দফা মুক্তি সনদ প্রণয়ন ও প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা পরবর্তীতে সকল আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে প্রথম কাতারে থেকে তিনি নেতৃত্ব দেন।
১৯৯৪ সালে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে তিনি ঢাকার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। তারই নেতৃত্বে ’৯৬-এর মার্চের শেষ সপ্তাহে ‘জনতার মঞ্চ’ গঠিত হয়। যা আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে শেখ হাসিনার ওপর নারকীয় গ্রেনেড হামলার সময় নিজের জীবন তুচ্ছ করে তিনি মানবঢাল রচনা করে প্রিয়নেত্রী শেখ হাসিনাকে রক্ষার প্রাণান্ত চেষ্টা করেন। সে সময় তার মস্তিষ্কসহ দেহের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য ঘাতক স্পিøন্টার ঢুকে পড়ে। দীর্ঘদিন চিকিৎসাতেও কোন ফল হয়নি বরং অস্ত্রোপচার করেও মাথার গভীরে বিঁধে থাকা স্পিøন্টার অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। দুঃসহ ওই যন্ত্রণা সহ্য করেই হানিফ রাজনীতিতে সক্রিয় থেকেছেন।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এ নেতা ২০০৬ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি মুক্তাঙ্গনে এক সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতা দেয়ার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। মাথায় বিদ্ধ স্পিøন্টারের প্রতিক্রিয়া পরবর্তী সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ও অকাল মৃত্যুর কারণ হিসেবে কাজ করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ