নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : দীর্ঘ ২১ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার শেষ করে অবসরে গেলেন দেশসেরা নারী সাইক্লিস্ট ফারহানা সুলতানা শিলা। তিন দিনব্যাপী জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতার শেষ দিন গতকাল বিকেলে অবসর নিলেন বিজেএমসির এই সাইক্লিস্ট। ঝলমলে ক্যারিয়ারে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক আসর থেকে জিতলেন স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জসহ ৮০টি পদক। অবসরে যাওয়ার মুহূর্তে কান্নাভেজা কণ্ঠে শিলা বলেন, ‘অনেক দিন খেলেছি। অনেকের সঙ্গে কতই না মধুর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। রেকর্ডের পর রেকর্ডও হয়েছে। অথচ আজ এই মাঠ ছেড়ে খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসরে যেতে হচ্ছে। খুব খারাপ লাগছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি খেলা ছাড়লেও ক্রীড়াঙ্গণ ছাড়ব না। ভবিষ্যতে কোচিং পেশায় মনোনিবেশ করতে চাই। এতদিন আমাকে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’
টানা ১৩ বছর ছিলেন জাতীয় কাবাডি দলের অধিনায়ক। এক সময় ফুটবলও খেলেছেন। তার কথায়, ২০০৪ সালে শুরু হওয়া বাংলাদেশের প্রথম মহিলা ফুটবল দলের প্রথম গোলদাতাও নাকি তিনি। তায়কোয়ান্ডো খেলোয়াড় হিসেবেও নাম-ডাক ছিল। পেয়েছেন বø্যাকবেল্ট উপাধি। তবে সাইক্লিংকে বেছে নিলেন খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা ডিসিপ্লিন হিসেবেই। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলেন বিজেএমসির সাইক্লিস্ট। নাম যার ফারহানা সুলতানা শিলা। দীর্ঘ খেলোয়াড়ী জীবনে পদকের পর পদক জিতে নিজ ক্যারিয়ারকে করেছেন সমৃদ্ধ। ২০০০ সালে নয়াদিল্লিতে এশিয়ান আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপে জেতেন দু’টি করে রৌপ্য ও ব্রোঞ্জপদক। ২০১৪ এশিয়ান ট্র্যাক অ্যান্ড সাইক্লিংয়ে দিল্লিতেই জেতেন একটি করে রুপা ও ব্রোঞ্জ।
সাইক্লিস্ট হিসেবে ১৯৯৬ সালে শিলার ক্যারিয়ার শুরু। ওই বছর প্রথম বাংলাদেশ গেমসে অংশ নেন কুষ্টিয়ার মজমপুরের এই নারী সাইক্লিস্ট। পরে তাকে কৃতি সাইক্লিস্ট হিসেবে করে গড়ে তোলেন বিজেএমসির কোচ আবদুল কুদ্দুস। কুদ্দুস শুধু শিলাকে খেলাই শেখাননি, তার দুঃসময়ে নানাভাবে সাহায্যও করেছেন। ২০০৮ সালে স্বামীর নির্যাতনে ঘরছাড়া হন এই কৃতি সাইক্লিস্ট। বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত এড়িয়ে এখন অনেকটাই স্বনির্ভর শিলা। সেই সঙ্গে দুস্থ নারী ক্রীড়াবিদদেরও সহযোগিতা করে যাচ্ছেন নানাভাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।