পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোলকাতা থেকে কালীপদ দাস : সিপিএম, কংগ্রেস নয়, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিই এখন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান প্রতিপক্ষ।
উত্তরবঙ্গ সফর করতে এসে মানুষের কাছে মমতার প্রধানত রাজ্যে ধর্মীয় মেরুকরণের বিরুদ্ধে সরব হওয়া দেখে তেমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। বিজেপির নাম করে মমতা বলেছেন, ধর্মের আবেগে এ রাজ্যে কেউ কেউ মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরির চেষ্টা করছে। এসবে আপনারা প্রভাবিত হবেন না। বাংলার মাটি খুব শক্ত। এ হলো নব জাগরেণের মাটি।
সম্প্রতি মমতা জেলা সফরে বেরিয়েছেন। জেলা সফরে বেরিয়ে মমতা প্রথমেই বেছে নিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলাকে। সদ্যসমাপ্ত উত্তরাখন্ড, উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির বাড়-বাড়ন্তকে মাথায় রেখে মমতা আর সময় নষ্ট করতে চাননি। পাঠকের স্মরণ থাকতে পারে গত লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো ফল করেছিল। সে কথা মাথায় রেখেই মমতা এক গুচ্ছ উন্নয়ন প্রকল্প ঝুঁড়িতে নিয়ে জেলা সফর শুরু করে প্রথমেই উত্তরবঙ্গকে বেছে নিয়েছেন। এক সময়ের বামেদের শক্তঘাঁটি বলে পরিচিত উত্তরবঙ্গের দ্রæত পট পরিবর্তন হচ্ছে। বিজেপি সেখানকার জমি দখলে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। ফলে মমতার টার্গেটে এখন শুধুই বিজেপি। আর তাই মানুষে মানুষে ভেদাভেদ রুখতে সর্বধর্ম সমন্বয়ের ওপরই জোর দিতে চাইছেন মমতা।
উত্তরবঙ্গ জেলা সফরে এসে কৈলাশদের মমতা আবারও মনে করিয়ে দিয়েছেন ভোটের আগে কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপি উত্তরবঙ্গের সাতটা বন্ধ চা- বাগান অধিগ্রহণ করার কথা বলেছিল। কিন্তু ভোট বহুদিন অতিক্রান্ত হলেও কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত একটিও চা-বাগান অধিগ্রহণ করতে পারেনি।
তবে দুদিন আগে উত্তরবঙ্গ সফরের শুরুতে বাগডোগরা বিমানবন্দরে এবং যাত্রাপথে যেভাবে জেলার মানষ তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় ভরিয়ে দিয়েছে তাতে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যের দায়িত্বে থাকা কৈলাশ বিজয়বর্গিয় শুধু উত্তরবঙ্গে কেন সারা রাজ্যেই কতটা দাঁত ফোঁটাতে পারবেন তা নিয়ে যথেষ্টই সন্দেহ আছে।
যদিও উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখন্ডে বিশেষ ভূমিকা পালন করা দলীয় সভাপতি অমিত শাহর কাছের মানুষ কৈলাশের দাবি তিনি এ রাজ্যেও পদ্ম ফুঁটিয়ে ছাড়বেন। শুধু তাই নয়, নারদা, সারদা নিয়ে অস্বস্তিতে থাকা মমতাকে আর একটু চমকে দিতে নাম উল্লেখ না করে কৈলাশের কৌশলপূর্ণ আরও দাবি তুণমূল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন হোমড়া-চোমড়া নেতা নাকি বিজেপিতে যোগ দেয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। বলা বাহুল্য মমতা কৈলাশের সেই দাবি ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।