Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

স্বাধীনতার জন্য স্কটল্যান্ড ফের গণভোটের পক্ষে

| প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা পেতে দ্বিতীয়বারের মতো গণভোট আয়োজনের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্ট। গত মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) গণভোটের জন্য স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জনের প্রস্তাবটি ৬৯-৫৯ ভোটে বিজয়ী হলে ফের স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার জন্য গণভোট আয়োজনের পথ সুগম হলো। তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে আগেই বলে রেখেছেন, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি গণভোটের আয়োজনকে ঠেকিয়ে দেবেন। গতকাল বুধবার (২৯ মার্চ) এই প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন তিনি। নিকোলা স্টার্জন তার গণভোটের প্রস্তাবে বলেছেন, ২০১৮ সালের শেষার্ধ বা ২০১৯ সালের শুরুর দিকে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার জন্য গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে। তবে গণভোট আয়োজনের সময় আলোচনাসাপেক্ষে হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন তিনি। এর আগে গত সোমবার (২৭ মার্চ) গøাসগোতে স্টার্জনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তেরেসা মে। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, এখন গণভোটের সময় নয়। এখন আমাদের গোটা যুক্তরাজ্যের জন্য বেক্সিটের সুফল নিশ্চিত করার বিষয়ে মনোযোগী হওয়া উচিত। তবে স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টে গণভোটের পক্ষে রায় আসার পর স্টার্জন বলেন, ‘আমি আশা করি, যুক্তরাজ্য সরকার স্কটিশ পার্লামেন্টের এই আকাক্সক্ষাকে সম্মান জানাবে। যদি তারা সেই সম্মান দেখায় তবে তাদের সঙ্গে আস্থা ও সমঝোতার মানসিকতা নিয়েও আমি আলোচনায় বসতে আগ্রহী।’ তবে যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টকে সতর্ক করে দিয়ে স্টার্জন বলেন, ‘কিন্তু তারা (যুক্তরাজ্য সরকার) যদি আমাদের আকাক্সক্ষাকে সম্মান না দেখায়, তবে ইস্টারের ছুটির পর পার্লামেন্টে ফিরে গিয়ে স্কটিশ পার্লামেন্টের এই আকাক্সক্ষার বাস্তব রূপ দিতে করণীয় নির্ধারণ করব।’
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৪ সালেও স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোটে অংশ নেয় স্কটল্যান্ড। তবে ওই গণভোটে স্কটল্যান্ডের বেশির ভাগ নাগরিকই যুক্তরাজ্যের অংশ হিসেবে থেকে যাওয়ার পক্ষে রায় দেন। এর মধ্যে গত বছরের জুনে গোটা যুক্তরাজ্য ব্রেক্সিট গণভোটে অংশ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিলে নতুন করে আলোচনায় আসে স্কটল্যান্ডের স্বাধীন হওয়ার প্রসঙ্গটি। এরই ধারাবাহিকতায় স্কটিশ পার্লামেন্ট পুনরায় যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীন হওয়ার জন্য গণভোট আয়োজনের পক্ষে সিদ্ধান্ত নিল।
এদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে বলেছেন, ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর এই সময়টি যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক ইতিহাসের ‘সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ সময়’। গত মঙ্গলবার বার্মিংহামে বিনিয়োগকারীদের এক ফোরামে তিনি বলেন, ‘আমরা ইইউয়ের সঙ্গে নতুন ধরনের সম্পর্ক শুরুর বিষয়ে আলোচনা শুরু করছি। বৈশ্বিকভাবে ব্রিটেনের জন্য আরও কত ভালো ফলাফল নিয়ে আসা যায়, সেই সুযোগ গ্রহণের জন্য আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’ ওই বক্তব্যে তিনি আজ বুধবার শুরু হতে যাওয়া ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক সূচনার কথা উল্লেখ করেন। গত বছরের জুনে ব্রেক্সিট গণভোটে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় আসার নয় মাস পর তিনি এই প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছেন। লিসবন চুক্তির ৫০তম অনুচ্ছেদ সক্রিয় করার মাধ্যমে শুরু হবে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদের প্রক্রিয়াটি। এ প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য সময় মিলবে দুই বছর। বিবিসি, রয়টার্স।



 

Show all comments
  • Forid ৩০ মার্চ, ২০১৭, ১১:৩৪ এএম says : 0
    যত দ্রুত সম্ভব এই গণভোটি হওয়া দরকার
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বাধীনতা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ