Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন বাড়ছে

| প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কর্পোরেট রিপোর্টার : অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন বাড়ছে। নতুন মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আইনের আওতায় গত এক সপ্তাহে ১২২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন নিয়েছে। এ নিয়ে অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন নেয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪৭৬। গত ১৫ মার্চ থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধনের পুরো কার্যক্রম দেখভাল করছে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এখন জোরালো প্রচার-প্রচারণা চলছে। এতে ব্যবসায়ীরা দ্রæত নিবন্ধন নিতে উত্সাহিত হচ্ছেন। আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হবে। তখন অনলাইনেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর রিটার্ন জমা ও মূসক পরিশোধসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ করতে হবে। এ জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধন নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সূত্র জানায়, আগে ভ্যাটের নিবন্ধন দেয়া হতো সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় অফিস থেকে। তখন এর নম্বর ছিল ১১ ডিজিটের। অনলাইনে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। নতুন নিয়মে বিভাগীয় অফিসের পরিবর্তে কেন্দ্রীয়ভাবে এনবিআর থেকে নিবন্ধন নম্বর দেয়া হবে এবং তা ৯ ডিজিটের হবে। আগে একই কোম্পানির একাধিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ভিন্ন ভিন্ন নিবন্ধন নিতে হতো। অনলাইনের আওতায় সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিবন্ধন হবে অভিন্ন। একটি কোম্পানির অধীনে যতগুলো সহযোগী প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোর জন্য শুধু একটি অভিন্ন ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর দেয়া হবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পে সফটওয়্যার এমনভাবে ইনস্টল করা হয়েছে যে, নিবন্ধন না নিলে ৩০ জুনের পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। এনবিআর এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত এনবিআর থেকে নিবন্ধন নেয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫১টি। এর বিপরীতে সবশেষ অর্থবছরে ভ্যাট পরিশোধ করেছে মাত্র ৩১ হাজার ৯৯৭টি প্রতিষ্ঠান। কয়েক বছর ধরে গড়ে ৩২ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান ভ্যাট পরিশোধ করছে। তাছাড়া হোটেল, রেস্তোরাঁ, চাইনিজ রেস্তোরাঁ, ফাস্টফুডের দোকান, ক্যাটারিং সার্ভিস, বিরিয়ানি হাউস, বিউটি পার্লার, মিষ্টির দোকান, সুপারশপসহ সেবা খাতে ইসিআর বাধ্যতামূলক করা হলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান তা স্থাপন করেনি। আবার যেসব প্রতিষ্ঠান ইসিআর স্থাপন করেছে, তারা এনবিআরে সঠিক নিয়মে হিসাব দিচ্ছে না। অপর্যাপ্ত জনবল ও প্রযুক্তিগত দুর্বলতার কারণে এনবিআর এ ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারছে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অনলাইন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ