মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে বৈঠকে বসছে শতাধিক দেশ। তবে এই উদ্যোগের বিরোধিতা করেছে কিছু পরমাণু শক্তিধর দেশ। জাতিসংঘের ১২৩টি রাষ্ট্র গত বছরের অক্টোবরে ঘোষণা দিয়েছিল যে, আইন করে পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আলোচনা করতে তারা জাতিসংঘে একটি সম্মেলনের আয়োজন করবে। গত সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের প্রধান দফতরে এ লক্ষ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ সম্মেলন আয়োজনের ক্ষেত্রে অস্ট্রিয়া, আয়ারল্যান্ড, মেক্সিকো, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং সুইডেন নেতৃত্ব দিচ্ছে। এছাড়া, বিশ্বের শতাধিক বেসরকারি সংস্থা উদ্যোগের প্রতি তাদের জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করেছে। তারা বলছে, পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কের টানাপড়েন এবং নতুন মার্কিন প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতি সংক্রান্ত অস্পষ্টতার কারণে বিশ্বে পরমাণু সংঘাত বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এদিকে, পরমাণু অস্ত্রধর অনেক দেশ এই প্রচেষ্টার বিরোধিতা করে আসছে। ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এই উদ্যোগের বিরোধিতা করেছে। চীন, ভারত এবং পাকিস্তান এ বিষয়ে নীরব রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র পরমাণু অস্ত্রধারী দেশ ইহুদিবাদী ইসরাইলও পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয় বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের নেতৃত্বে এ ইস্যুতে আয়োজিত জাতিসংঘে বৈঠক বর্জন করছে অন্তত ৪০টি দেশ। বৈঠকের বিরোধিতা করে এ মন্তব্য করেছেন সংস্থায় নিযুক্ত মার্কিন দূত নিক্কি হ্যালি। গত অক্টোবরে পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধ করতে একটি বৈশ্বিক চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরুর নীতিগত উদ্যোগ নেয় জাতিসংঘের ১২৩টি সদস্য দেশ। গত ডিসেম্বরে এ বিষয়ে সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটি হয়। আলোচনা শুরুর পক্ষে ভোট দেয় ১১৩টি দেশ। অন্যদিকে প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয় ৩৫টি দেশ। অপর ১৩টি দেশ ভোট প্রদানে বিরত থাকে। প্রস্তাবের বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্রসহ পারমাণবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ সব দেশ। ডিসেম্বরের ভোটে প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেয় ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইসরায়েল, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে পারমাণবিক ক্ষমতাধর দেশ চীন, ভারত ও পাকিস্তান ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে। এমনকি পারমাণবিক হামলার শিকার একমাত্র দেশ জাপানও এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে। স্থানীয় সময় গত সোমবার জাতিসংঘের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই বৈঠক বর্জনের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। নিক্কি হ্যালি জানান, মার্কিন প্রশাসনের নেতৃত্বে ব্রিটেন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও ইসরায়েলসহ অন্তত ৪০টি দেশ এ বৈঠক বর্জন করছে। তিনি বলেন, আমি একজন মা হিসেবে আমার সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব চাইতেই পারি। কিন্তু আমাকে বাস্তবতা বুঝতে হবে। এটা নিষিদ্ধের প্রস্তাব পুরোপুরি অবাস্তব। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োজন। কেননা আপনি কখনোই শত্রæ দেশকে বিশ্বাস করতে পারবেন না। তিনি প্রশ্ন রাখেন, উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র বিলুপ্তির প্রস্তাবে রাজি হবে, এটা কি কেউ বিশ্বাস করতে পারেন? তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে এ আলোচনায় অংশ নেয়া থেকে আরো অন্তত ৪০টি দেশ বিরত থাকতে রাজি হয়েছে। যদিও ১২০টির বেশি দেশ এখনো এ আলোচনা শুরুর বিষয়ে আশাবাদী। কিন্তু পারমাণবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ শক্তিশালী দেশগুলোর বৈঠক বর্জনের কারণে এ উদ্যোগের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। রয়টার্স, বিবিসি, ডয়েচে ভেল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।