নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : এর আগেও শ্রীলংকার বিপক্ষে দ্বি-পাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জয়ের সুযোগ ছিল। ২০০৬ সালে বগুড়ায় শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়টি মøান হয়েছে সিরিজের শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরে। ২০১৩ সালে পাল্লেকেলেতে জিতে প্রথমবারের মতো শ্রীলংকার সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ ড্র’র অতীতও আছে। তবে দ্বি-পাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকাকে হারিয়ে বাজির ঘোড়া এখন বাংলাদেশ। এগিয়ে থেকে আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বুর বাংলাদেশের বিপরীতে আজ সিরিজ বাঁচাতে শ্রীলংকার সামনে ম্যাচটি গণ্য হচ্ছে ‘ডু অর ডাই’ এ। শততম টেস্টকে স্মরণীয় করে, শ্রীলংকার বিপক্ষে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ৯০ রানে হারিয়ে চাঙ্গা বাংলাদেশ দল শ্রীলংকার মাটি থেকে প্রথমবারের মতো ট্রফি জয়ে উন্মুখ। শেষ ম্যাচ পর্যন্ত প্রতীক্ষা নয়, আজই ডাম্বুলায় ইতিহাস রচনায় প্রত্যয়ী বাংলাদেশ দল। গতকাল মাশরাফি এমন সম্ভাবনার কথাই বলেছেন- ‘অবশ্যই। সেই সম্ভাবনা আছে। তার জন্য প্রথম ম্যাচে যেভাবে খেলেছি সেভাবেই খেলতে হবে। আমরা আমাদের সেরাটা খেলতে পারলেই জিতব। সে বিশ্বাস আছে।’
মাশরাফির নেতৃত্বে গত আড়াই বছরে অসাধ্য সাধন করেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের সাফল্যাঙ্ককে (৪৯ ম্যাচে ২৩ জয়) টপকে গেছেন মাশরাফি (৩৮ ম্যাচে ২৪ জয়) ডাম্বুলায় দুর্দান্ত জয়ে। আজ জিতলেই তার নেতৃত্বে জয়ের রজত জয়ন্তী উদযাপন করবে বাংলাদেশ। ২৩তম সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে বাংলাদেশ। তবে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচকে সামনে রেখে আত্মতুষ্টিতে না ভুগে প্রতিপক্ষকে সমীহ করে ছক আঁকতে হচ্ছে বাংলাদেশ অধিনায়ককে- ‘তারাও অনেক জানপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা করবে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে। তারা ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে। অবশ্যই তারা চাইবে প্রথম থেকে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে।’
মাশরাফির নেতৃত্বে সর্বশেষ ৮টি ওয়ানডে সিরিজের ৬টির ট্রফি জিতেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে তিনটিতে (জিম্বাবুয়ে ২ বার, পাকিস্তান একবার) প্রতিপক্ষ হয়েছে হোয়াইট ওয়াশ। এবার শ্রীলংকার মাটিতে প্রথমবারের মতো প্রতিপক্ষকে হোয়াইট ওয়াশের স্বপ্নের জালও বুনছে বাংলাদেশ সমর্থকরা। তবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে শ্রীলংকাকে হোয়াইট ওয়াশে বাধ্য করার ছক এখনই আঁককে চান না মাশরাফি। এমন টার্গেট উল্টো চাপে ফেলে দিতে পারে বলে সতর্ক পথেই পা বাঁড়ানোর কথা ভাবছেন মাশরাফি- ‘এখনই ৩-০ নিয়ে ভাবাটা খেলোয়াড়দের জন্য একটা চাপ। আমার মনে হয়, এখান থেকে বাইরে থাকাই ভালো। ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলা সবচেয়ে সুবিধাজনক। প্রথম ম্যাচ জিতেছি এখন দ্বিতীয় ম্যাচে ফোকাস করা উচিত। আমাদের লক্ষ্য পরের ম্যাচে সেরা ক্রিকেট খেলা, যদি বের হয়ে যেতে পারি তখন বোঝা যাবে সমীকরণ কী।’
প্রথম ম্যাচের মতো পরিকল্পনাগুলো মাঠে যথাযথভাবে প্রয়োগকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন মাশরাফি- ‘প্রথম ম্যাচের আগে বলেছিলাম আমাদের পরিকল্পনাগুলো ঠিকমতো প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম ম্যাচে যা হয়েছে, তা ভুলে আমাদেরকে নতুন করে শুরু করতে হবে।’
সাঙ্গাকারা, মাহেলা, দিলশান, মালিঙ্গা, ম্যাথুউজহীন শ্রীলংকাকে শক্তির নিক্তিতে যারা দুর্বল ভাবছেন, তাদেরকে মাশরাফি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন- ‘ওদের দলে থেরাঙ্গা, চান্দিমাল, পেরেরাসহ আরও কয়েকজন খেলোয়াড় কিন্তু অদীর্ঘদিন ধরে খেলছে। আমরা যখন ওদের অবস্থায় ছিলাম তখন কিন্তু আমরাও অনেক দলকে হারিয়ে দিয়েছে। ওয়ানডে ক্রিকেটে এমনটা হতে পারে।’
হোমে টানা ৬টি সিরিজ জয়ের পর ইংল্যান্ডের কাছে হার ব্যাকফুটে নামিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। সম্ভাবনা জাগিয়েও নিউজিল্যান্ড সফরে ব্যর্থতার গøানি নিয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ। বিদেশের মাটিতে ভাল খেলার চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলেন। সেই চ্যালেঞ্জের সার্থকতা খুঁজতে সিরিজ জিততে চান মাশরাফি- ‘নিউজিল্যান্ড সফর থেকে আমাদের ভিন্ন চ্যালেঞ্জ শুরু হবে। নিউজিল্যান্ডে আমরা সুযোগ তৈরি করেও জিততে পারিনি। এখানে এসে আমরা প্রথম ম্যাচ ভালো করেছি। দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচও জিতেছি। প্রথম ওয়ানডে জিতেছি। আমার যেটা মনে হয় ধীরে ধীরে আমরা বিদেশের মাটিতে উন্নতি করছি। এই উন্নতি দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
ডাম্বুলায় আজ অন্য বৈশিষ্ট্যের উইকেটের মুখে পড়তে পারে বাংলাদেশ দল। হোম এডভানটেজ নিতে স্বাগতিক দল সেই ফাঁদেই ফেলতে চাইছে বাংলাদেশকে। ডিকভেলার ইনজুরিতে ২ পেস বোলার নুয়ান কুলাসাকেরা এবং নুয়ান প্রদীপের সঙ্গে অফ স্পিনার দিলুরুয়ান পেরেরাকে অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশকে ধাঁধায় ফেলতে চাইছে শ্রীলংকা টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে মাশরাফি প্রতিপক্ষের সব চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় প্রস্তুত। প্রয়োজনে উইনিং কম্বিনেশন ভেঙ্গে খেলতেও আপত্তি নেই তার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।