Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্রেক্সিট সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবিতে লন্ডনে বিক্ষোভ

প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:২২ এএম, ২৭ মার্চ, ২০১৭

ইনকিলাব ডেস্ক : ব্রিটেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে দেশটির হাজার হাজার মানুষ লন্ডনের রাস্তায় সমবেত হয়েছে। ইউনাইট ফর ইউরোপ নামের একটি সংগঠন এই সমাবেশের আয়োজন করে। ইউরোপের সঙ্গে থাকতে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আহŸান জানান আয়োজকরা। তারা এমন সময় সমবেত হলেন যখন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আর্টিকেল ৫০ নিয়ে কথার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর্টিকেল ৫০ হচ্ছে ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসার চূূূড়ান্ত প্রক্রিয়া। ২৯ মার্চ ইইউর ৬০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ব্রেক্সিটের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হবে। একই দিনে বাকি ২৭ দেশের নেতারা একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। ৬০ বছর আগে ইউরোপীয় ইকোনোমিক কমিউনিটি নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই সংস্থাটি। বঁলন্ডনের পার্ক লেনে প্রায় ঘন্টাখানেক অবস্থান করেন। পুলিশ তাদের বিতাড়িত করার সুযোগ পায়নি। কারণ প্রত্যাশার চেয়েও বেশি মানুষ জড়ো হওয়ায় পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অপপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। সমবেতদের হাতে হলুদ ও নীল রংয়ের ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতাকা দেখা যায়। ইউরোপীয় দেশের অনেক নাগরিক ওই সমাবেশে যোগ দেয়। তারা ব্রিটেনকে ইইউ থেকে আলাদা দেখতে চায় না বলে বিভিন্ন ব্যানারে লিখে তা প্রদর্শন করেন। ব্রিটেনে প্রায় ৩০ লাখ ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশভুক্ত নাগরিক বাস করেন। ব্রেক্সিটের কারণে তারা সংকটে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেবা আশঙ্কা থেকেই সমবেত হন তার যাতে ব্রেক্সিটের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আহŸান জানান। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছেড়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া আগামী ২৯ মার্চ শুরু করবেন। থেরেসা মের এক মুখপাত্র গত সোমবার জানিয়েছেন, তিনি ওই দিন লিসবন চুক্তির ‘আর্টিকেল ফিফটি’ সক্রিয় করবেন। বিধি অনুযায়ী ইইউ জোট থেকে কোনো সদস্যের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া এভাবেই শুরু হয়। গণভোটে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় আসার নয় মাস পর সরকারের অঙ্গীকার মতো মার্চ মাসেই শুরু হতে যাচ্ছে এই ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, থেরেসা মে ইউরোপীয় কাউন্সিলকে একটি চিঠি লিখবেন। এরপর যত দ্রæত সম্ভব শুরু হবে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার শর্ত এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপীয় কমিশন প্রধান জ্যাঁ ক্লদ ইয়ুঙ্কারের মুখপাত্র মারগারিটিস শিনাস বলেন, ‘আমরা আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত।’ এক টুইট বার্তায় ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক লিখেছেন, ‘যুক্তরাজ্য আর্টিকেল ফিফটি সক্রিয় করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমি ব্রেক্সিটের খসড়া নির্দেশনা ইইউয়ের ২৭ সদস্য রাষ্ট্রের কাছে উপস্থাপন করব।’ চিঠিতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কাছে আহŸান জানানো হবে যাতে যুক্তরাজ্যের ইইউ ত্যাগ ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কের ধরন নির্ধারণের আলোচনা যেন যত দ্রæত সম্ভব শুরু করা হয়। ইইউ এর মুখপাত্র বলেছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চিঠির জন্য তারা প্রস্তুত হয়ে অপেক্ষা করছেন। ২০১৫ সালের ২৩ জুন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে যুক্তরাজ্য থাকবে কি না এই প্রশ্নে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। ৫১.৯ শতাংশ মানুষ ব্রেক্সিট বা ব্রিটেনের ইইউ ‘এক্সিট’ এর পক্ষে ভোট দেন, এর বিপক্ষে ভোট দেন ৪৮.১ শতাংশ মানুষ। ২০০৯ সালে ইইউ এর লিসবন চুক্তির আর্টিকেল ৫০ এর প্রক্রিয়া অনুযায়ী ইইউ ত্যাগের আলোচনা ও ভবিষ্যতের সম্পর্কের ধরন কেমন হবে সেই বিষয়ক দর কষাকষি আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করার আগে শুরু করা যাবে না। ইইউ এর সদস্য বাকি ২৭ দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ভবিষ্যত সম্পর্কের দরকষাকষির আলোচনা হবে। ব্রেক্সিটের খসড়া চুক্তি ইউরোপিয়ান কাউন্সিলে তুলে ধরা হবে এবং এটি অনুমোদিত হতে কমপক্ষে ২০টি দেশের সম্মতি লাগবে, যারা ইইউর ৬৫ শতাংশ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। যদি দুই বছরের সময়সীমা অনুযায়ী সবকিছু সমাপ্ত হয় তাহলে ২০১৯ সালের মার্চের মধ্যে যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে। দ্য ইন্ডিপিনডেন্ট, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ