রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) উপজেলা সংবাদদাতা : কাপ্তাই হ্রদের পাশে দুর্গম পাহাড়ী এলাকার মগবান ইউনিয়নের গবঘোনা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। ঝড়, হাওয়া আসলেই ভয়ে বিদ্যালয় ছুটি দেয়া হয়। আমরা পাহাড়ে শিক্ষার পরিবেশ চাই। গবঘোনার একটি সুন্দর পরিবেশে ১৯৯৩ সাল হতে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালটি নির্মাণ করা হয়। স্থাপিত হওয়ার পর হতে বিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষক ধারা বিদ্যালয়টি পরিচালনা করা হয়। বিদ্যালয়টি সংস্কারের অভাবে টিন, টয়লেট, খুঁটি, বেড়া অতি নড়বড়ে নাজুক অবস্থায় পড়ে আছে। প্রশাসনের পক্ষ হতে কোন সহযোগিতা না পাওয়ায় প্রায় দুই শত শিক্ষার্থীর পড়া-লেখা অত্যন্ত বেহাল অবস্থা। বিদ্যালয় সভাপতি ও গ্রাম প্রধান শফিউল আলম বলেন, ২০০৬ সালে বিদ্যালয়টি প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল শিক্ষা উপকরণের অভাবে। এলাকার সকলের সহযোগিতা নিয়ে নিজেরা শিক্ষার্র্র্থীদের বই ক্রয় করে বিদ্যালয় পরিচালনা করেছি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর হতে আমরা শিক্ষার্র্থীদের জন্য বই পাচ্ছি। এছাড়া শুধুমাত্র ইউপি পরিষদ হতে এ যাবত ২টন চাল পেয়েছি। এবং তিন জন শিক্ষকের মাসিক বেতন দেড় হাজার টাকা জেলা পরিষদ হতে এবং একজন শিক্ষকের টাকা কাপ্তাই সেনা জোন হতে দেয়া হয়। অন্যসব পাড়া থেকে কিছু টাকা সংগ্রহ করে কোনরকম পরিচালনা করা হয়। পাড়া প্রধান বলেন, বিদ্যালয়টি সংস্কারের ব্যাপারে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদকে ১২/১৫টি আবেদন করা হলেও অদ্যবধি তা সংস্কার করা হয়নি। সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা গত বছর বিদ্যালয় পরিদর্শন করে সমস্যা নিজে দেখে সংস্কার করার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি। বরং স্কুল সংস্কার বাজেট কেটে অন্যত্র দেয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়। শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা শিক্ষা গ্রহণ করতে চাই। বিদ্যালয়টি আমরা পুনরায় সংস্কার চাই। ঝড় আসলে আমাদের অনেক ভয় লাগে। না জানি কখন ভেঙে সকলেই হতহত হই। তাই আমাদের বিদ্যালয়টি অতি দ্রুত সংস্কার চাই এবং সরকারিকরণ চাই। এলাকার ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ আমরা এ বিদ্যালয়টি সংস্কারের জন্য জেলা পরিষদকে কয়েকবার বলা হলেও আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এবং আমরা বিদ্যালয়টিকে সরকারিকরণের আবেদন জানাই। বর্তমানে বিদ্যালয়টি সংস্কারের অভাবে হুমকির মুখে আছে, যে কোন সময় এটি ঝড়ো হাওয়ায় ধসে যেতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।