Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রচারে ব্যস্ত খুলনা চেম্বার নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা

| প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

খুলনা ব্যুরো : দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের এখনো বাকি একমাস। এরই মধ্যে খুলনার ব্যবসায়ী মহলের সর্বোচ্চ সংগঠন খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। ভোট ব্যাংক বাড়াতে ফেসবুক প্রচারণাসহ নানান কৌশলও অবলম্বন করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ইতোমধ্যে খুলনা চেম্বার নির্বাচনের আগ্রহী প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন শেষে দাখিলকৃত কাগজপত্রাদি যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। যাচাই-বাছাই সম্পর্কে কোনো আপত্তি না থাকায় গত মঙ্গলবার রেজিস্ট্রেশনকারী সম্ভাব্য ৫০ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। গত বুধবার থেকে আগামী রবিবার পর্যন্ত সমিতির কার্যালয়ে সকাল ১০টা হতে বিকেল ৩টার মধ্যে মনোনয়নপত্র ক্রয় করা যাবে। দাখিলের শেষ সময় রবিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ওইদিনই বাছাই ও আপত্তি থাকলে নিষ্পত্তি করে বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ হবে। এছাড়া বাছাই ও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আপত্তি দাখিল ২৯ মার্চ, শুনানি ১ এপ্রিল এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য ৪ মার্চ ধার্য হয়েছে। আগামী ২৬ এপ্রিল খুলনা ইউনাইটেড ক্লাব প্রাঙ্গণে সকাল ৮টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র জানান, এবারও সাধারণ সদস্য শ্রেণিতে ১৫টি, সহযোগী সদস্য শ্রেণিতে ৬টি ও বাণিজ্যিক দল শ্রেণিতে ৩টি পদের বিপরীতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে সাধারণ সদস্য শ্রেণিতে ২ হাজার ৬১৪ জন, সহযোগী সদস্য শ্রেণিতে ১ হাজার ৪০৪ জন ও বাণিজ্যিক শ্রেণিতে ৫ জন ভোটার রয়েছেন। ২০১৪ সালের ১৩ ডিসেম্বরের সর্বশেষ নির্বাচনে সাধারণ সদস্য শ্রেণিতে এক হাজার ২৮৯ জন, সহযোগী সদস্য শ্রেণিতে ৭২২ জন ভোটার ছিলেন। ওই নির্বাচনে খুলনা ব্যবসায়ী পরিষদ ও খুলনা ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে দু’টি পরিষদ অংশ নিলেও কাজী আমিনুল হক নেতৃত্বাধীন ঐক্য পরিষদ নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছিল।
এবারের নির্বাচনেও দু’টি পূর্ণাঙ্গ পরিষদ গঠনের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। কারণ, দু’টি প্যানেলেরই নেতৃত্বে থাকছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নগর শাখার প্রভাবশালী দুই নেতা। এর মধ্যে একজন হলেন পরপর তিন দফা চেম্বার সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী কাজী আমিনুল হক। আরেকজন হচ্ছেন তিন দফা সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী এ্যাড. সাইফুল ইসলাম। এই দু’জন ব্যবসায়ী নেতা ২০১১ সাল হতে অদ্যাবধি চেম্বারের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। এর মধ্যে বাণিজ্যিক দল সিমেন্ট আমদানিকারক মালিক হতে কাজী আমিন ও অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন মালিক গ্রুপ হতে সাইফুল তিনবারই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন। খুলনা চেম্বার সভাপতি কাজী আমিনুল হক বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৩ সদস্যের নির্বাচন কমিশন এবং ৩ সদস্যের আপিল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এবারের নির্বাচনেও তার নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ পরিষদ অংশ নেবেন। চেম্বারের গতিশীলতা অব্যাহত রাখতে বিগত দিনের ন্যায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
কেশবপুরে ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে কৃষি বিভাগের আগাম প্রস্তুতি
কেশবপুর উপজেলা সংবাদদাতা : দিনে গরম রাতে শীত। কেশবপুরে এই বৈরী আবহাওয়ার কারণে উঠতি বোরো ধান ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার নেতৃত্বে টিম গঠন করে উপজেলার প্রতিটি গ্রামে কৃষক সচেতনতায় আজ বুধবার (২২ মার্চ) থেকে ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি বছর এ উপজেলায় বোরো আবাদের জন্য ১৫ হাজার ৯‘শ ১৪ হেক্টর জমি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ধানের মূল্য বৃদ্ধির কারণে এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১৫ হাজার ৯‘শ ৩০ হেক্টর বোরো আবাদ হয়। সময় মত বীজ, সার কৃষকের হাতের নাগালে থাকায় এবার বোরোর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দেয়। যা থেকে ৭৯ হাজার ৬‘শ ৫০ মেট্রিকটন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১৮৩ কোটি ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ ভাগ ক্ষেতের ধান গাছে শীষ বেরিয়েছে। বর্তমান চৈত্র মাসেও এ উপজেলায় সপ্তাহ ব্যাপী দিনে গরম ও রাতে শীত বিরাজ করছে। এই বৈরী আবহাওয়া ব্লাস্ট রোগের জন্য দায়ি। এমতাবস্থায় উপজেলা কৃষি বিভাগ আগাম প্রস্তুতি হিসেবে টিম গঠন করে কৃষক সচেতনতাকরণ, পরামর্শ প্রদান ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আছানুর রহমান জানান, এ রোগের লক্ষণ হলো ধান গাছের প্রথম পত্রফলকে অতি ছোট ডিম্বাকৃতির দাগ পড়া, শীষ বের হওয়ার সময় শীষের গোড়াই কালো দাগ পড়া। এ রোগে আক্রান্ত ধানের শীষ খাদ্য গ্রহণ ক্ষমতা হারিয়ে শীষ সাদা হয়ে মরে যায়। এ রোগের কারণে জমির সমস্ত ধান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে সময়মত ছত্রাকনাশক স্প্রে করে এ রোগ সহজেই দমন করা যায়।
উপজেলার দোরমুটিয়া গ্রামের কৃষক মতিউল ইসলাম গত মঙ্গলবার দুপুরে জানান, তাঁর জমির ধানের শীষ বেরিয়েছে। কিছু কিছু গাছের শীষ সাদা হয়ে মারা যাচ্ছে। তিনি এ রোগ প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি বলে জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানা জানান, এ রোগের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে আজ বুধবার থেকে ১০ জনকে নিয়ে ৪টি গ্রুপ করা হয়েছে। ২৬ জন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ও ২১ জন কৃষি ডিপ্লেøামা পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীসহ মোট ৪০ জনকে নিয়ে উপজেলার ১৪৪টি গ্রামে কৃষক ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে। অধিক মাত্রায় নাইট্রোজেন সার ব্যবহার, বাতাসের আর্দ্রতা এ রোগের প্রকোপ বাড়ায়। আক্রান্ত জমিতে ছত্রাকনাশক সাটিভো, ট্রুপার, ফিলিয়া, ব্লাষ্টিন, টাটাভো ভালোভাবে স্প্রে করে গাছ ভিজিয়ে দিয়ে এ রোগ দমন করা যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রচার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ