মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আগামীতে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশা করছে মিয়ানমার
ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমারের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির কর্মকা-ে সম্পৃক্ত শিশুরা ঝুঁকিতে রয়েছে। বিদেশী বিনিয়োগে গড়ে ওঠা কলকারখানায় শ্রমে নিয়োজিত রয়েছে হাজার হাজার শিশু। ফলে দুর্ঘটনাসহ বাড়ছে নানা ধরনের ঝুঁকি। দীর্ঘ অর্ধশতাব্দী কাল সামরিক শাসন অবসানের পর বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে উন্মোচিত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দরিদ্র দেশ মিয়ানমারের বাজার। এর ফলে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে মিয়ানমারের অর্থনীতি। পশ্চাৎপদ দেশটির জন্য এটা সুখবর হলেও পাশাপাশি এর মূল্য দিতে হচ্ছে মিয়ানমারের শিশুদের। মিয়ানমারের ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রতি পাঁচজনের একজন বিভিন্ন শ্রমে নিযুক্ত। শিশুশ্রমের ক্ষেত্রে মিয়ানমারের অবস্থান বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। এসব শিশুর অনেকেই ঘর মোছা, চা পরিবেশন বা গৃহস্থালি সহকারী হিসেবে কাজ করে নিজেদের পরিবারকে সহায়তা করছে। এর বাইরে বাকিরা ক্রমবর্ধমান বিদেশী মালিকানাধীন কারখানায় শ্রমিক হিসেবে নিযুক্ত। বিদেশী বিনিয়োগ এরই মধ্যে মিয়ানমারকে এ অঞ্চলের দ্রুত সম্প্রসারণশীল অর্থনীতিতে পরিণত করেছে। আগামী বছরগুলোয় ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশা করছে মিয়ানমার। এসব কলকারখানায় ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয় শিশুরা। ১৪ বছর বয়সী সান মিন তেইক তাদের একজন। চীনা মালিকানাধীন ট্রিপল নাইনের লৌহ প্রক্রিয়াজাত কারখানায় কাজ করতে গিয়ে মেশিনে হাতের আঙুল কাটা পড়ে তার। পরিবারের সচ্ছলতার জন্য এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যোগ দিয়েছিল তেইক। দুর্ঘটনার পর কোম্পানির পক্ষ থেকে তাকে ১ হাজার ৮০০ ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। তেইকের মা জানান, ক্ষতিপূরণের টাকা তেইকের চিকিৎসা আর ছোট দুই ভাইবোনের শিক্ষার পেছনে ব্যয় করতে হয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন নেতা সান উইন জানান, দেশের বহু অভিভাবক সন্তানদের কাজে পাঠাচ্ছে পরিবারের সহায়তার জন্য। তিনি বলেন, যে দেশের প্রতি চারজনের একজন দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে, সেখানে এসব অভিভাবককে বাধা দেয়া সম্ভব হয় না। মিয়ানমারে আইনত ১৪ বছর থেকে শিশুরা কাজ করতে পারে। আইনত শিশুদের ৪ ঘণ্টা শ্রম ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে বিরত রাখার কথা। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এর কোনোটাই মানা হয় না। ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।