Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এখনো অব্যাহত

ব্রাসেলস হামলার বর্ষপূর্তি

| প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : গত বছর ২১ মার্চ পরপর তিনটি বোমা হামলায় কেঁপে ওঠে ইউরোপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর ব্রাসেলস। বিগত এক বছরে বেলজিয়ামবাসী হামলার বিভীষিকা কাটিয়ে উঠলেও দেশটিতে বসবাসরত মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এখনো অব্যাহত রয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানায়, হামলার পর থেকে শারীরিক ও মৌখিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বেলজিয়ামের মুসলিমরা। ২০১৬ সালের ২১ মার্চ সকাল ৮টায় বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের জাভেনতাম বিমানবন্দরের মূল বহির্গমন এলাকায় পরপর দুটি এবং এর কিছুক্ষণ পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদর দফতরের পাশে ম্যালবিক মেট্রো স্টেশনে তৃতীয় বোমাটি বিস্ফোরিত হয়। এ ঘটনায় ৩২ জন সাধারণ মানুষ ও তিনজন হামলাকরী নিহত হন। আহত হন আরো তিন শতাধিক মানুষ। হামলার দায় স্বীকার করে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড লেভান্ত (আইএসআইএল)। ব্রাসেলসের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা মোলেনবিকের তরুণ মুসলিমরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে ক্রীড়া-বিষয়ক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে যাওয়া আহমেদ প্রথম দিনেই বৈষম্যের শিকার হন। ক্লাসের অন্য সহপাঠীদের সামনে মুসলিম হওয়ার কারণে শিক্ষকের কটু কথা শুনতে হয় মরক্কান বংশোদ্ভূত এ কিশোরকে। ভবিষ্যতে বোমা হামলার পরিকল্পনা থাকলে আগে থেকেই সে বিষয়ে তাকে অবহিত করতে বলেন সেই শিক্ষক। ওই মুহূর্তে সহপাঠীদের সঙ্গে ঠাট্টার ছলে কথাটাকে গুরুত্ব না দিলেও এ ঘটনা তার অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে বলে জানান আহমেদ। তবে আহমেদের এ ঘটনা বেলজিয়ামের মুসলিমদের বর্তমান পরিস্থিতির একটি খÐচিত্র মাত্র। মানবাধিকারকর্মীরা জানান, এক বছরে স্বাভাবিক হওয়ার পরিবর্তে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে মোড় নিয়েছে। গোটা বেলজিয়ামে ইসলামভীতি বেড়েছে। বেলজিয়ামের সমসুযোগ নিশ্চিতকারী ও বর্ণবাদবিরোধী সংস্থা উনিয়া জানায়, ব্রাসেলস হামলার এক মাসের মাথায় ইসলামভীতি-সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে। বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর হিসাব অনুসারে ২০১৬ সালে ইসলামভীতির ঘটনা ঘটেছে ১২০টি। হামলার পর থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত এধরনের ঘটনা ঘটেছে ৩৬টি ঘটনা। কালেকটিভ এগেইন্সট ইসলামোফোবিয়া ইন বেলজিয়ামের (সিসিআইবি) হাজিব আল হাজ্জাজি জানান, ইসলামভীতি দ্বারা অনুপ্রাণিত কর্মকাÐের সংখ্যা ও তীব্রতা উভয়ই ক্রমাগত হারে বেড়ে চলেছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি হিমবাহের দৃশ্যমান ক্ষুদ্র একটি অংশ মাত্র। উনিয়া জানায়, কর্মক্ষেত্রে জাতিগত বৈষম্যমূলক ঘটনা ১৪ শতাংশ ও ধর্মগত বৈষম্যমূলক ঘটনা ৯১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ