মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে সহযোগিতা করতে চেয়েছিল রাশিয়া
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের প্রধান জেমস কোমি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ক্ষতি আর রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সহযোগিতা করতে চেয়েছিল রাশিয়া। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে গত সোমবার শুনানিতে কোমি এমন অভিযোগ তোলেন। তবে এ নিয়ে ট্রাম্পের প্রচার শিবির ও রুশদের মধ্যে কোনো যোগাসাজশ ঘটেছিল কি না, জানতে চাইলে কোমি বলেন, এফবিআই বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। গোয়েন্দা-সংক্রান্ত কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতা অ্যাডাম শিফ শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প টাওয়ারে আড়ি পেতেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ওবামা ট্রাম্পের এমন অভিযোগ সরাসরি নাকচ করে দেন এফবিআইয়ের প্রধান। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টের টুইটার বার্তাকে আমি সম্মান করি। কিন্তু ওই টুইটার বার্তার সমর্থনে কোনো প্রমাণ পাইনি আমরা। এফবিআইয়ের পাশাপাশি বিচার দপ্তরও তদন্ত করে অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ পায়নি। নির্বাচনী প্রচারণার সময় ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির সার্ভার হ্যাক হয়। তখন থেকেই নির্বাচনে সম্ভাব্য রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ করে আসছিলেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। তখন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা রাশিয়া-ট্রাম্প যোগসাজশের এ আশঙ্কা ব্যক্ত করেন। ধারণা করা হচ্ছিল, এফবিআই বিষয়টি তদন্ত করছে। কিন্তু এ নিয়ে এতদিন মুখ খোলেননি সংস্থাটির প্রধান কোমি। তবে গত সোমবার প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দা-সংক্রান্ত কমিটির সামনে শুনানিতে কোমি বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন হিলারিকে ঘৃণা করেন। এ কারণেই হিলারির প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীকে সাহায্যের চেষ্টা করেন পুতিন। কোমি বলেন, রাশিয়া চেয়েছিল আমাদের গণতন্ত্রের ক্ষতি করতে, হিলারির ক্ষতি করতে এবং ট্রাম্পকে সাহায্য করতে। গত ডিসেম্বরের শুরুর দিকেই বিষয়টি আমাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। এফবিআইয়ের প্রধান বলেন, রাশিয়ানরা আবার ফিরে আসবে। তারা ২০২০ সালের নির্বাচনের সময় ফিরে আসতে পারে। এমনকি ২০১৮ সালে সিনেট এবং প্রতিনিধি পরিষদের মধ্যবর্তী নির্বাচনের সময়ও ফিরে আসতে পারে। এর আগে শুনানির শুরুতে প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দা-সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান ডেভিন নানস বলেন, ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির এবং রাশিয়ার মধ্যে যোগসাজশের অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। এদিকে কংগ্রেসের শুনানি চলাকালে কয়েক দফা টুইট করেন ট্রাম্প। এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, এফবিআই এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা কংগ্রেসকে জানিয়েছে, রাশিয়া নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেনি। প্রসঙ্গত, গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ সম্পর্কে মার্কিন কংগ্রেসের ইনটেলিজেন্স কমিটির এই শুনানীতে কোমি ছাড়াও সাক্ষ্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান মাইকেল রজার্স। জেমস কোমি একইসাথে প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে এটি নিশ্চিত করেন যে, গত মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের যে অভিযোগ উঠেছে তার সংস্থা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে। মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের কোনও সহযোগী রাশিয়ার কোনও কর্মকর্তার সঙ্গে সহযোগিতা বা কোন ধরনের সহযোগিতার চেষ্টা করে থাকলে তাও খতিয়ে দেখা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাউন্টার ইনটেলিজেন্সের অংশ হিসাবে এই তদন্ত চলছে। অপরদিকে অ্যাডমিরাল রজার্স স্পষ্ট করেই বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন প্রভাবিত করার রাশিয়ার উদ্যোগ কেবল একটি দৃষ্টান্ত নয়। এখন তারা ইউরোপে একই ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমরা যেমনটা দেখেছি, যেটা ভুল তথ্য দিয়ে বা বানোয়াট খবর প্রকাশ করে করা হয়েছে সেই একই প্রয়াস আমরা ইউরোপেও দেখতে পাচ্ছি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইনটেলিজেন্স কমিটির শুনানী চলার সময়েই এই টুইটার বার্তায় মন্তব্য করেন যে, সাক্ষ্য দানকারীরা বলেননি যে রুশ হ্যাকাররা ভোটের সংখ্যা পাল্টে দিয়েছিলো। এএফপি, সিএনএন, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।