Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মুক্তবাণিজ্যের পক্ষে জোরালো অবস্থান জার্মানি ও জাপানের

ট্রাম্প প্রশাসনের সংরক্ষণবাদী আগ্রাসী নীতির প্রতিক্রিয়া

| প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মুক্তবাণিজ্যের পক্ষে নিজেদের জোরালো অবস্থানের কথা ব্যক্ত করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল ও জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। জার্মানির হ্যানোভার শহরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ কম্পিউটার মেলা সিইবিআইটির উদ্বোধনকালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জাপানকে মিলিতভাবে বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা দূর করতে কাজ করার আহŸান জানান আবে-মারকেল। মারকেল জানান, মুক্ত ও খোলা বাজারের প্রতি সমর্থন জানাতে চুক্তি কার্যকর করতে প্রস্তুত জার্মানি। উল্লেখ্য, ইইউর দ্বিতীয় বৃহত্তম এশীয় অংশীদার জাপান। ইইউর তথ্য অনুযায়ী, জোট ও জাপানের দখলে রয়েছে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক উৎপাদনের এক-তৃতীয়াংশ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই সংরক্ষণবাদী নীতি অনুসরণ করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশীয় স্বার্থ রক্ষায় টিপিপি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করেন তিনি। এ ছাড়া বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে নাফটা চুক্তি পুনরালোচনাসহ নানা আগ্রাসী পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বিবেচনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এমন অবস্থায় বৈশ্বিক বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বিশ্বনেতারা। তবে ট্রাম্পের সংরক্ষণবাদী মনোভাবের প্রতি ইঙ্গিত না করে মেলার উদ্বোধনী বক্তব্যে মুক্তবাজার অর্থনীতির পক্ষে নিজের সমর্থন ব্যক্ত করেন মারকেল। তিনি বলেন, অবশ্যই আমরা ন্যায্য বাজার কামনা করি। তবে ন্যায্য বাজার প্রতিষ্ঠায় কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চান না বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, এমন একটা সময় যখন মুক্তবাণিজ্য, উন্মুক্ত সীমান্ত ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিয়ে অনেক দেশের সঙ্গে আমাদের বিবাদে জড়িয়ে পড়তে হচ্ছে, তখন জাপান ও জার্মানি এসব বিষয়ে কোনো ধরনের দ্ব›েদ্ব জড়াচ্ছে না, যা অবশ্যই ইতিবাচক একটি ব্যাপার। আন্তঃসম্পর্কের এ সময়ে সুষম পন্থা অবলম্বন করে দুই দেশের সমাজকে আমরা সংযুক্ত করতে পারি। চলতি বছর সিইবিআইটি মেলায় অংশীদারিত্ব করছে জাপান। মেলায় যোগ দিতে হ্যানোভারে এসেছেন আবে। সেখানে মুক্তবাজার রক্ষায় জাপান কাজ করবে বলে জানান তিনি। আবে বলেন, জার্মানির পাশাপাশি মুক্তবাণিজ্যের প্রতি নিজের সমর্থন সম্মুন্নত রাখতে চায় জাপান। তিনি আরো জানান, পারস্পরিক সংযুক্তির মাধ্যমেই অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি আসে। সেই সঙ্গে তিনি এটাও বলেন, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এমন কোনো শর্তারোপ করা উচিত নয়, যা সম্পদকে সমাজের একটা নির্দিষ্ট শ্রেণির কাছে কুক্ষিগত করে রাখে। এ ছাড়া দ্রæত ইইউ-জাপানের বাণিজ্য চুক্তি চ‚ড়ান্তকরণের আহŸান জানান তিনি। প্রসঙ্গত, উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রতিবন্ধকতা কমিয়ে আনতে ২০১৩ সালে আলোচনা শুরু করে জাপান-জার্মানি। এএফপি, বøুমবার্গ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ