পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমানের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে গতকাল রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। সকাল ৮টায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওয়াবদুল কাদের বলেন, ভৈরবকে জেলা করার প্রক্রিয়া চলছে। যা শুরু করেছিলেন জিল্লুর রহমান। উনার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে ভৈরবকে জেলা করার প্রক্রিয়া থেমে যায়নি। সরকার সময় সুযোগমত ভৈরব জেলা গঠনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, জিল্লুর রহমান একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও নিবেদিত প্রাণ রাজনীতিক। আজকের দিনে আমরা যখন সৎ, নিষ্ঠাবান ও নিবেদিত প্রাণ রাজনীতিক খুঁজি তখন জিল্লুর রহমান তার উদাহরণ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জিল্লুর রহমানের মতো আদর্শ আর নিষ্ঠাবান নেতার চলে যাওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয়। তার আদর্শ যুগ যুগ ধরে নেতাকর্মীদের প্রেরণা যোগাবে। তিনি বলেন, জিল্লুর রহমান একসময় আওয়ামী লীগের প্রাণভোমরা ছিলেন, আজ তাকে খুব মনে পড়ছে। তিনি আমাদের রাজনৈতিক আদর্শ ছিলেন। তাকে সামনে রেখেই আমরা রাজনীতি করেছি। তার শূন্যতা আমাদের এখনও ভোগায়।
এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মৃত্যুবার্ষিকীতে পরিবারের পক্ষ থেকে জিল্লুর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করা হয়। জিল্লুর রহমানের ছেলে কিশোরগঞ্জ-৬ এর সংসদ সদস্য ও বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এ সময় বলেন, ভৈরব জেলা বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলেছে।
প্রসঙ্গত, বায়ান্নোর ভাষা সংগ্রামী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মহান মুক্তিযুদ্ধের দক্ষ সংগঠন, আওয়ামী লীগের ৪ বারের সাধারণ সম্পাদক এবং দেশের ১৯তম প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান ২০১৩ সালে ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।