নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শামীম চৌধুরী : তামিল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এন্ড অ্যাথলেটিক ক্লাবে এক সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন হাতুরুসিংহে, হেরাথ। লঙ্কান লিজেন্ডারি কুমারা ধর্মসেনার মতো হাতুরুসিংহেকে মেন্টর মানেন হেরাথও। গল থেকে পি.সারা ওভালে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে হাতুরুসিংহে শৈশব, তারুণ্যের ভেন্যুতে এসে হয়ে পড়েছেন আবেগি, মেন্টরকে পরিচিত ভেন্যুতে পেয়ে আবেগ স্পর্শ করেছে লঙ্কান অধিনায়ক হেরাথেরও। অথচ টেস্ট শেষে দু’জন দু’প্রান্তে। অতীতে যে ভেন্যুর টেস্ট রেকর্ড শ্রীলঙ্কার পক্ষে, ছিল ৯ জয়ের বিপক্ষে ৬ হার, যে ভেন্যুতে মুরালীধরনের পর বোলিং কৃতিত্বে লেখা আছে হেরাথের নাম, সেই ভেন্যুতে বাংলাদেশের কাছে টেস্ট হেরে হেরাথের চেহারাটাই যেনো বদলে গেছে। নিরাপত্তা বেস্টনীকে তোয়াক্কা না করে টেস্টের প্রথম ৪ দিন লোকাল বয় হেরাথ অটোগ্রাফ শিকারি কাউকে করেননি নিরাশ। অথচ, গত পরশু মাথা নীচু করে নিরাপত্তা বেস্টনিতে ছাড়লেন লঙ্কান অধিনায়ক মাঠ! ড্রেসিং রুমে মহাধুম-ধামে কেক কেটে যার ৩৯তম জন্মদিন পালন করার কথা, নিজের জন্মদিনটা যে মাটি হলো তার। দেখলেন নিজের পরিচিত ভেন্যুতে বাংলাদেশের শততম টেস্ট জয়ের উৎসব। সামনে অপেক্ষা করছে কঠিন সময়, ওয়ানডে সিরিজে ধেয়ে আসছে বাংলাদেশ দল, তার সম্ভাব্য আভাস পেয়ে টিমমেটদের সতর্ক সংকেত দিয়েছেন হেরাথ।
প্রথমবারের মতো টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর গর্বটা একটু বেশিই করতে পারে বাংলাদেশ দল। কারন জয়টি শ্রীলঙ্কার মাঠে সূচিত হয়েছে এবং জয়টি বাংলাদেশের বিশেষ মাইলস্টোন ম্যাচে হয়েছে অর্জিত। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথম টেস্ট ড্র’র কৃতিত্বের পাশে ওয়ানডে জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন যিনি, সেই মুশফিকুর এবার হয়ে গেলেন ইতিহাস। তার নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কার মাটি থেকে প্রথম টেস্ট জয়ে এবার বাংলাদেশ দল ওয়ানডে সিরিজে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে পারবে, মাশরাফিরা পাবে সেই টনিক, এমনটাই মনে করছেন বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমÑ ‘এই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিবে। কারণ গত ক’টি ওয়ানডে সিরিজে আমরা প্রত্যাশিত ফল পাইনি। এই জন্যই এই টেস্টে জয়টি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হলো পরের সিরিজটা, বিশেষ করে ওয়ানডে সিরিজ জেতা। আশা করি কয়েকদিনের বিশ্রামে দলের সবাই প্রস্তুত হয়ে উঠবে।’
বাংলাদেশের শততম ওয়ানডে ম্যাচে জয়টা মাশরাফির অল রাউন্ড পারফরমেন্সে হয়েছে অর্জিত। ২০০৪ সালে ভারতের বিপক্ষে সেই জয়ে ছিলেন মাঠে, বাংলাদেশের শততম টেস্ট জয়টা দেখেছেন কাছ থেকে। ড্রেসিং রুমে টেস্ট জয়ী বীরদের করে নিয়েছেন বরণÑ ‘শততম টেস্ট ম্যাচটা জিততে দেখা আনন্দের ব্যাপার। একই সঙ্গে, আমরা ওয়ানডে খেলতে এসেছি, ড্রেসিংরুমে ঢোকার সুযোগ হয়েছিলো। ওদের অনুভূতিটা কেমন ছিলো, সেটা দেখতে পেরেছি। আমি বলবো যে, আমরা খুব ভাগ্যবান।’
২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার মাটিতে শ্রীলঙ্কাকে ওয়ানডে ম্যাচে হারানোর সুখস্মৃতি সঙ্গে আছে মাশরাফির। ৪ বছর আগে শ্রীলঙ্কার মাটি থেকে সেই জয় থেকেও টনিক নিতে চান ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি। শ্রীলঙ্কার মাটি থেকে টেস্ট জয় ওয়ানডে সিরিজে ট্রফি জয়ে বাংলাদেশকে করবে উদ্বুদ্ধ, এমনটাই মনে করছেন মাশরাফিÑ ‘টেস্টের চেয়ে ওয়ানডেতে অবশ্যই প্রত্যাশা থাকে বেশি। আমাদের মতো সমর্থকরাও এমনটা প্রত্যাশা করে। লাল বল থেকে সাদা বলে খেলার জন্য মানসিকভাবে হওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ। আর আমরা পাঁচটা টেস্ট খেলার পর সাদা বলে খেলবো। এখন যেটা হবে, আমাদের রান বের করতে হবে। ’
এক দিবসীয় ম্যাচে ২ বছর পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অবতীর্ণ হচ্ছে বাংলাদেশ দল। এক সময়ে বাংলাদেশের কঠিন প্রতিপক্ষ মাহেলা, সাঙ্গাকারা, দিলশান, এঞ্জেলো ম্যাথুুউজহীন দলকে অবশ্য সমীহ করছেন মাশরাফি। শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে দলের বোলিংকে প্রধান হুমকি মনে করছেন মাশরাফিÑ ‘ওয়ানডে স্কোয়াডে বেশির ভাগ টেস্ট স্কোয়াডের খেলোয়াড়। তারা তাই মানসিকভাবে এগিয়ে থাকবে। কারণ তারা বড় ফরম্যাটে বড় একটা ম্যাচ জিতেছে। ওদের কয়েকজন ভালো বোলার আছে। ওদের কিছু ক্রিটিকাল বোলার আছে, তাদের কাছ থেকে রান বের করাটা কঠিন হবে। সান্দাকান আছে। প্রথম টেস্টে বোলাররটা (লাহিরু কুমারা) খেললো, তার গতি ১৪৫-এর মতো। এ রকম আরো কয়েকজন আছে, যারা দারুণ কিছু করতে পারে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।