নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রেজাউর রহমান সোহাগ : বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় সাফল্যগুলোর সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন নাজমুল হাসান পাপন। যে কারণে স্বভাবতই দেশের ক্রীড়ামোদীদের কাছে খেলোয়াড়দের পাশাপাশি পাপনের নামটিও এখন অত্যন্ত আলোচিত ও স্মরণীয়। বাংলাদেশের শততম টেস্ট উপলক্ষ্যে শ্রীলঙ্কা গিয়েছিলেন বোর্ড সভাপতি পাপন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের পার্ফরম্যান্সে ভিষনভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন পাপন। যে কারণে শ্রীলঙ্কা পৌঁছেই পাপন দলের কোচ ও খেলোয়াড়দেরকে নিয়ে জরুরিভাবে বসেছিলেন। সেখানে খেলোয়াড়দেরকে আরো বেশি ভালো খেলার জন্য উদ্বুদ্ধ করার পাশপাশি খেলোয়াড়দেরকে দেশের জন্য আরো বেশি আন্তরিক ও কমিটেড হওয়ার জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করেন পাপন। সূত্রমতে যানা যায়, ক্ষুব্ধ পাপপন সে সময় খেলোয়াড়দের উদ্দেশ করে বলেন, ‘যে যত বেশি বড় খেলোয়াড়ই হোক না কেন, দলে কেউই অপরিহার্য নয়। যথাযথভাবে পারফর্ম করতে না পারলে দলে কারোরই জায়গা হবে না।’
বিসিবি প্রেসিডেন্ট শ্রীলঙ্কা থেকে দেশে ফিরেছেন গত শনিবার। গতকাল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পদস্থ কর্মকর্তারাসহ ক্রীড়াঙ্গণের অনেকেই ছুটে আসেন পাপনের গুলশানের বাসায় তাকে অভিনন্দন জানাতে। বাংলাদেশ দলের এই সাফল্যে বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে পাপনও ছিলেন দারুণ উৎফুল্ল ও ফুরফুরে মেজাজে। সেসময় দৈনিক ইনকিলাবের সাথে আলাপকালে বিসিবি প্রেসিডেন্ট পাপন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘বাংলাদেশের এই স্মরণীয় জয়ের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব আমাদের খেলোয়াড়দের এবং টিম ম্যানেজমেন্টের। আমি আমাদের দলের প্রতিটি খেলেয়াড় এবং টিম ম্যানেজমেন্টকে অভিনন্দন জানাই। ক্রিকেটে বাংলাদেশের অনেক স্মরণীয় জয় আছে, কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আমাদের এই টেস্ট জয়টাকে আমি একটু ভিন্নভাবে দেখি। সেটা হচ্ছে আমাদের ক্রিকেটাররা প্রমাণ করেছে যে, তারা চাইলে সবকিছুই পারেন। ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির মত টেস্টে আমরা এখনও ততটা ভালো করতে পারিনি। কিন্তু আমাদের খেলোয়াড়রা বর্তমানে যেভাবে এগুচ্ছে এবং ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার মত শক্তিশালী দলকে টেস্টে যেভাবে হারিয়েছে তাতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস দেশের প্রতি যদি আমাদের সকল খেলোয়াড়দের কমিটমেন্ট শতভাগ ঠিক থাকে তাহলে আমি নিশ্চিত যে টেস্ট ক্রিকেটেও বাংলাদেশের শক্তিশালী অবস্থানে যেতে খুব বেশি আর সময় লাগবে না। এই ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার পেছনে আমাদের খেলোয়াড়দের সবচেয়ে এডভান্টেজ হচ্ছে রাষ্ট্র ও ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে তারা সব ধরণের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে। যে সকল সুযোগ-সুবিধা ক্রিকেটের অনেক নামী-দামী দলেও এখন নেই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।