Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সউদী বাদশাহর সফরে উপসাগরীয় দেশসহ সমগ্র আরব উপকৃত হবে

পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাথে কৌশলগত অংশীদারিত্বে বৈচিত্র্য আনবে : মিসরীয় বিশ্লেষকের অভিমত

| প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সউদী বাদশাহ সালমান এক মাসের এশিয়া সফর শুরু করেন। মালয়েশিয়া, ইন্দেনেশিয়া, ব্রুনাই, জাপান সফর শেষ করে তিনি এখন চীনে আছেন। এরপর তিনি মালদ্বীপ যাবেন। বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ বেইজিংয়ে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারা দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনাকালে বাদশা সালমান বলেন, তার দেশের অর্থনৈতিক সংস্কার এবং চীনের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ফলে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। তিনি এই সম্পর্ক জোরদারকরণে দায়িত্বরত সউদি-চায়না কমিটির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রশংসা করেন। এ ছাড়াও উভয় দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চরমপন্থি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক যুদ্ধে সহযোগিতার ব্যাপারেও দুই নেতা একমত হন। তবে, তাদের মধ্যে মূল আলোচনা হয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সউদি বাদশাহর সফর এই অঞ্চলের সঙ্গে সউদি আরবের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে নতুন মাত্রা যোগ করবে। মিসরের শুরা কাউন্সিলের একজন সিনিয়র সদস্য আল খুনাইজি বলেন, বাদশার এই সফরের মাধ্যমে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনাই, জাপান ও চীনের সঙ্গে একটি সুসম্পর্ক তৈরি হলো। সেই সঙ্গে সউদি আরবের অর্থনৈতিক সংস্কারের পরিকল্পনা ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে এই সফর কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। তার মতে, এই সফরের মাধ্যমে উপসাগরীয় দেশসহ সমগ্র আরব ভূখন্ড উপকৃত হবে। এই সফরের মাধ্যমে সউদি অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়নসহ সউদি (স্নাতক) নাগরিকদের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। রিয়াদের একজন বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ ও আইনি পরামর্শক মাজেদ আব্দুল্লাহ আল হেদায়ান বলেন, সউদি বাদশাহ এমন সময়ে এশিয়া সফর করছেন, যখন সউদি আরব তেলনির্ভর অর্থনীতি থেকে সরে এসেছে এবং এশিয়ার মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে একটি আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়। তার মতে, বাদশার এই সফর পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনতে এবং এশিয়া ও আফ্রিকার মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করতে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে। চীন সফরকালে বাদশা ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ঝ্যাং দেজাংয়ের সাথেও বৈঠক করেন। তারা আন্তর্জাতিক শান্তি পরিকল্পনাগুলো, বিশেষ করে ফিলিস্তিনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বাদশা সালমান পিকিং বিশ^বিদ্যালয়ে বাদশা আবদুল আজিজ পাবলিক লাইব্রেরির উদ্বোধন করেন। এই বিশ^বিদ্যালয় থেকে তাকে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। বিশ^বিদ্যালয়ের সভাপতি বাদশাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এই গ্রন্থাগার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উন্মোচন করল। বাদশা এ সময় গ্রন্থাগার এবং বিভিন্ন ভাষায় লাইব্রেরি থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক গ্রন্থের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রত্যক্ষ করেন। বাদশা এ সময় বলেন, বিজ্ঞান ও জ্ঞান আহরণের এই সুযোগ সউদি আরব গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, বিজ্ঞান জাতির রেনেসাঁ ও অগ্রগতির মূল ভিত্তি। চীনে পৌঁছলে শিক্ষামন্ত্রী চেন বাওসেং ও বেশ কয়েকজন চীনা কর্মকর্তা বাদশাকে স্বাগত জানান। আল জাজিরা, সিনহুয়া, আরব নিউজ।



 

Show all comments
  • কাজল ২০ মার্চ, ২০১৭, ১:১৫ এএম says : 0
    আমার কাছেও সেরকমই মনে হচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ