Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণ চীন সাগরে পরিবেশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বানাবে চীন

নিষেধাজ্ঞা আরোপে বিল উত্থাপন করেছেন দুই মার্কিন সিনেটর

| প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : চলতি বছর দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত ভূখন্ড স্কারবোরো সোলে এনভায়রনমেন্টাল মনিটরিং স্টেশন নির্মাণের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে চীন। দেশটির সরকারি কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। তবে এরই মধ্যে বিতর্কিত নৌসীমায় চীনের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য একটি বিল উত্থাপন করেছেন দুজন মার্কিন সিনেটর। এর আগে গত মাসে ফিলিপাইনের এক মন্ত্রী জানান, উভয় দেশের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিতর্কিত ভূখন্ডে চীন অবকাঠামো নির্মাণ করবে না বলে ফিলিপাইনের প্রধানমন্ত্রীকে প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন চীনা প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিং। তবে ফিলিপিন মন্ত্রীর এ মন্তব্যকে বিভ্রান্তিকর ও দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছে চীন। চলতি সপ্তাহে সানসা সিটির মেয়র শিয়াও জি জানান, চলতি বছর বেশকিছু দ্বীপপুঞ্জে এনভায়রনমেন্টাল মনিটরিং স্টেশন নির্মাণের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে চীন। এর মধ্যে স্কারবোরো সোলও রয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপ ও প্রবালপ্রাচীরের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের জন্য সানসা সিটিতে প্রশাসনিক ঘাঁটি নির্মাণ করেছে চীন। তবে ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চার্লস হোসে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
অপর খবরে বলা হয়, দক্ষিণ চীন সাগরে জাপান তাদের সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজকে পাঠালে তার বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেইজিং। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ হুঁশিয়ারি দিয়েছে। আগামী মে মাসে সবচেয়ে বড় হেলিকপ্টারবাহী জাহাজ ইজুমো তিন মাসের অভিযানে দক্ষিণ চীন সাগরে যাবে বলে জাপানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। জাপানের উপক‚ল প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক সদস্য বলেছেন, ইজুমোর সামরিক সক্ষমতা যাচাই করার জন্য তিন মাসের অভিযানে পাঠানো হচ্ছে এবং দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর সঙ্গে জাহাজটি প্রশিক্ষণ নেবে। এর প্রতিক্রিয়ায় গত বৃহস্পতিবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেছেন, গত বছরের তুলনায় দক্ষিণ চীন সাগরের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আঞ্চলিক দেশগুলো প্রচেষ্টায় এটি ঘটছে বলেও জানান তিনি। এ অঞ্চলের বাইরের দেশগুলোকে দক্ষিণ চীন সাগরের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার তৎপরতার প্রতি সম্মান জানানোর আহŸান জানান তিনি। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সঙ্গে জাপানের কোনো বিরোধ নেই, তবে পূর্ব চীন সাগরে বিরোধ চলছে। পূর্ব চীন সাগরের সেনকাকু বা দিয়াউ দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে চীন ও জাপানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। উভয় দেশই দ্বীপপুঞ্জটিকে নিজের বলে দাবি করছে। জাপান দ্বীপটির নাম দিয়েছে সেনকাকু। আর চীন নাম দিয়েছে দিয়াউ। এই বিরোধের জের ধরে দুটি দেশ ওই দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় বেশ কয়েকবার পাল্টাপাল্টি জাহাজ ও বিমান পাঠিয়েছে। সাগরের কিছু এলাকায় বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চল প্রতিষ্ঠারও ঘোষণা দিয়েছিল চীন। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ