Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জার্মানিতে জি২০ অর্থমন্ত্রীদের বৈঠক শুরু

| প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : শিল্পোন্নত দেশগুলোর ফোরাম গ্রæপ অব টোয়েন্টির (জি২০) অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নরদের বৈঠক গত শুক্রবার থেকে জার্মানিতে শুরু হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর ফোরামের এটা প্রথম বৈঠক। এতে সংরক্ষণবাদের আশঙ্কা নিয়ে আলোচনার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। বৈঠক শুরুর একদিন আগে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দুই রফতানিকারক চীন ও জার্মানির নেতারা মুক্ত বাজার ও বাণিজ্যের প্রতি নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ শিরোনামের বাজেট উপস্থাপনের একদিনের মাথায় জার্মানির বাদেন-বাদেন শহরে জি ২০ অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নরদের বৈঠক শুরু হয়েছে। এবারের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদাররা মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানিউচিনের কাছে মুক্ত বাজার সম্পর্কে ট্রাম্প প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চাইতে পারেন।
জি ২০ বৈঠকের প্রাক্কালে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মুক্ত বাণিজ্যের প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে এক বিবৃতি দিয়েছেন। এর আগে দুই নেতা টেলিফোনে কথা বলেন। বিবৃতিতে তারা মুক্ত বাণিজ্য ও বাজারের স্বার্থে একসঙ্গে লড়াইয়ের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। জার্মানির চ্যান্সেলরের কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জার্মানি ও চীনের নেতারা পারস্পরিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন। একই সঙ্গে তারা জি ২০ ফোরামের সভাপতি হিসেবে জার্মানির নির্ধারিত কাঠামোর মধ্যে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। দুই নেতা চীনের বাজারে জার্মানির গাড়ি কোম্পানিগুলোর সাফল্য অব্যাহত রাখতে সেখানে ইলেকট্রোমোবিলিটির সুযোগের প্রসার ঘটানোর বিষয়ে আলোচনা করেছেন। সংরক্ষণবাদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উদারবাদী জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেলের প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাতের একদিন আগে জার্মানি ও চীনের নেতারা এ বিবৃতি প্রকাশ করলেন। এর আগে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং ওয়াশিংটনের প্রতি পৃথক সতর্কতা বার্তা দিয়েছেন। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে লি কেকিয়াং বলেন, আমরা দুদেশের মধ্যে কোনো বাণিজ্যযুদ্ধের সূচনা দেখতে চাই না। বাণিজ্যযুদ্ধ কখনো বাণিজ্যের ন্যায্যতা বৃদ্ধি করবে না। চীনা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরদিন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানিউচিন বলেছেন, অন্যান্য অর্থনৈতিক শক্তির সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়ানোর কোনো ইচ্ছা ওয়াশিংটনের নেই। বার্লিনে জার্মানির অর্থমন্ত্রী ভুলফগ্যাং শোয়েবলের সঙ্গে বৈঠকের পর মানিউচিন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানিউচিন বলেন, আমরা যা চাই তা হচ্ছে, কোথাও বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা থাকলে যেন বিষয়টির সুরাহা করা হয়। স্টিভেন মানিউচিন আরো বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক মুদ্রাগুলোর মানে ট্রাম্প প্রশাসন গভীর নজর রাখবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অন্যদের জন্য হিতকর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির স্বার্থে যেসব নীতি, সেগুলোই অনুসৃত হবে। জি ২০ বৈঠকের প্রস্তুতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, সংরক্ষণবাদকে প্রত্যাখ্যান করে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য দিতে যুক্তরাষ্ট্র অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এ কারণে মুুক্ত বাজারের ইস্যুটিই বৈঠকের মূল্য আলোচ্য হয়ে উঠতে পারে। ফরাসি অর্থমন্ত্রী মিশেল সাপাঁ বলেন, সমস্যা হলো যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য ইস্যুতে স্পষ্ট কোনো অবস্থান নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো যুক্তিযুক্ত অবস্থান আমরা দেখতে পাচ্ছি না। আজকে সেটাই মূল সমস্যা। বিভিন্ন ইস্যুতে টুইটারে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের সমালোচনা করে মিশেল সাপাঁ বলেন, পরিস্থিতি হয়তো এমন যে, টুইটারে এক লাইনের বক্তব্যের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র নিজের পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছু জানাতে পারছে না। এএফপি, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ