Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আবারও আসিব ‘কুটুমবাড়ী’

প্রকাশের সময় : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে শীতকালীন পিঠা উৎসব-১৪২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, সাংবাদিক সমিতিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের সহযোগিতায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত এই উৎসবে বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক স্টল অংশগ্রহণ করে। গ্রামবাংলার বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৫০ রকমের পিঠা প্রদর্শিত ও বিক্রি হয়। তেমন একটি স্টল ছিল আইন বিভাগের অষ্টম ব্যাচেরও নাম কুটুমবাড়ী। স্টলটি ছিল মনমুগ্ধকরভাবে সাজানো গোছানো। পিঠা উৎসবের অন্য স্টলগুলো ছাপিয়ে এই স্টলটি ছিল লক্ষ করার মত। কারণ স্টলটির নামেই যে ছিল গ্রামবাংলার ছোঁয়া। চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, চৈ পিঠা, পোয়া পিঠা, পাকন পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, গোলাপ পিঠা, নকশি পিঠা, ঘরকন্যা পিঠা, করি পিঠা, কুটুম পিঠা, মিষ্টি বড়া, লবঙ্গ পিঠা, খেজুর পিঠা, হাতকুলি পিঠা, ভিজা পিঠা, ঝিনুক, শঙ্খ রস, নকশি বিলাস, ডিম পিঠাসহ প্রায় চল্লিশ প্রকারের পিঠা স্থান পায় কুটুমবাড়ীতে।
সারারাত জেগে অনেক পিঠা নষ্ট করে হলেও মনমতো পিঠা বানিয়েছিলেন কুটুমবাড়ীর সদস্যরা। পিঠার দাম সাধ্যের মধ্যে থাকায় সমগ্র সময়জুড়েই ভিড় ছিল কুটুমবাড়ীর সামনে। এছাড়া সেলফি উৎসব তো চলেছেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনের। স্টলটির সৌন্দর্যের কথা আইন বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের মুখে শোনা গিয়েছে।
পিঠা উৎসব হয়ত এ বছরের মত শেষ হয়েছে তাই বলে পিঠা উৎসবের কথা ভুলেননি কুটুমবাড়ীর কোন সদস্যই। আর ভুলবেই বা কেমনে এই উৎসব যে ছিল গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সেরা উৎসব। আর তাইতো কুটুমবাড়ীর সদস্যরা সবাইকে আবার জানিয়ে দিলেন আগামী বছরের পিঠা উৎসবের আগাম বার্তায় নতুনভাবে আসছে কুটুমবাড়ী।
১৩ ফেব্রুয়ারি ঠিক ভালবাসা দিবসের আগের দিন কুটুমবাড়ী স্টলের সদস্যরা বিশমাইল এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ঠিক কোণায় এক আনন্দঘন মুহূর্তে মিলিত হয়। পিকনিকের আয়োজনের পেছনে পিঠা উৎসবের কুটুমবাড়ী স্টলের অর্থ এবং সকল সদস্যদের পরিশ্রমই ছিল মুখ্য হিসেবে। অনুষ্ঠানে দুপুরের খাবার শেষে একত্রে আড্ডা, হাঁটাহাঁটি, ছুটোছুটি, ছবি তোলা ছাড়াও বিভাগের প্রিয় শিক্ষকদের কাছে পেয়ে মন খুলে কত রকমের প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় নানা গল্প এবং আড্ডা। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে আবার শুরু হয়ে যায় বাড়বিকিউ পার্টির প্রস্তুতি। আর এর ফাঁকেই চলে লটারির মাধ্যমে নাচ, গান, কবিতা, অভিনয় ও কৌতুক। বালিশ খেলাও ছিল অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণীয় হিসেবে।
বিভাগের শিক্ষকরা এমন অনুষ্ঠানের সাধুবাদ জানায়। পড়ালেখার পাশাপাশি এমন অনুষ্ঠান পড়ালেখার পরিবেশ তৈরিতে অন্যতম ভূমিকা রাখে তাই মাঝে মাঝে এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন দরকার বলে জানান শিক্ষকরা।
ষ এস এম আহমেদ মনি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আবারও আসিব ‘কুটুমবাড়ী’

২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ