Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গ্রামীণ জনপদে ইউপি নির্বাচনের হাওয়া বিদ্রোহী মাঠে থাকায় প্রধান দুই দলই বিপাকে

প্রকাশের সময় : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মো. আবু শহীদ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে : প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তবে কোন কোন ইউনিয়নে প্রার্থী দিতে পারেনি জামায়াতে ইসলাম ও জাতীয় পার্টি। বৃহৎ দুই রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মতামত ও প্রার্থীর জনপ্রিয়তা যাছাই করেই এই প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বলে জানিয়েছেন দল দুটি। এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের এই নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে জনপ্রিয় প্রার্থী বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দল দুটির কয়েকটি ইউনিয়নের তৃনমূল নেতা-কর্মীরা। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে যারা চূড়ান্ত হয়েছেন, তারা হলেন, ১নং এলুয়াড়ী ইউনিয়নে মঞ্জু রায় চৌধুরী, ২ নং আলাদিপুর ইউনিয়নে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফফর রহমান, ৩নং কাজিহাল ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মানিক রতন, ৪নং বেতদিঘী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান শাহ মো. আব্দুল কুদ্দুস, ৫নং খয়েরবাড়ী ইউনিয়নে আবু তাহের ম-ল, ৬নং দৌলতপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ ও ৭নং শিবনগর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ। চেয়ারম্যান পদে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হিসেবে যাদের চূড়ান্ত করা হয়েছে, তারা হলেন, ১নং এলুয়াড়ী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ মাওঃ মোঃ নবীউল ইসলাম, ৩নং কাজিহাল ইউনিয়নে আশরাফুল ইসলাম, ৪নং বেতদিঘী ইউনিয়নে মেজবাউল ইসলাম, ৫নং খয়েরবাড়ী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন চৌধুরী, ৬নং দৌলতপুর ইউনিয়নে মিজানুর রহমান মাস্টার ও ৭নং শিবনগর ইউনিয়নে প্রভাষক খন্দকার মেহেদী হাসান সাজু। এদিকে ২নং আলাদীপুর ইউনিয়নে বিএনপি দলীয় কোন প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি বলে জানা যায়। আওয়ামী লীগের দলিয় প্রার্থী হিসেবে ১নং এলুয়াড়ী ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান মমতাজ আলীকে না দিয়ে মঞ্জুরায় চৌধুরীর নাম চূড়ান্ত হওয়ায় ওই ইউনিয়নের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশ নাখোশ হয়ে পড়েছেন। একই ভাবে ৭নং শিবনগর ইউনিয়নে দলীয় কর্মীদের বাদ দিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদকে মনোনয়নের জন্য চূড়ান্ত করায় ওই ইউনিয়নের প্রবীণ আওয়ামী লীগের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। একই ভাবে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হিসেবে ৩নং কাজিহাল ইউনিয়নে দলীয় কর্মীদের নাম বাদ দিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান আবু বক্করের ছেলে আশরাফুল ইসলামকে দলীয় মনোনয়নের জন্য চূড়ান্ত করা ও দৌলতপুর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান আবুকে বাদ দিয়ে মিজানুর রহমানকে দলীয় মনোনয়ন দেয়াকে কেন্দ্র করে ওই দুটি ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এই বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম মতির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মতামত নিয়ে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে, তবে দৌলতপুর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান আবু দলীয় মনোনয়নের জন্য কোন আবেদন করেনি ফলে তাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার কোন সুযোগ হয়নি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান বাবুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্থানীয় জনমত ও নেতা-কর্মীদের মতামত নিয়ে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। এদিকে দলীয় মনোনয়ন না পেলেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ঘরনা অনেক চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠ চষে বেড়াছেন। ফলে নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলই বিপাকে পড়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রামীণ জনপদে ইউপি নির্বাচনের হাওয়া বিদ্রোহী মাঠে থাকায় প্রধান দুই দলই বিপাকে
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ