মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : প্রেসিডেন্টের অনুমোদন ছাড়াই কথিত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনার ক্ষমতা পেয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী। পাশাপাশি সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে ড্রোন ব্যবহারের অধিকারও পেতে যাচ্ছে তারা। বৃহত্তর সামরিক লক্ষ্য অর্জনে কৌশলগত প্রভাব সৃষ্টির স্বার্থে মার্কিন কমান্ডারদের এই ক্ষমতা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সে দেশের সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন-এর এক অনুসন্ধান থেকে এসব কথা জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শীর্ষ এক মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে সিএনএন দাবি করেছে, এখন থেকে মার্কিন কমান্ডাররা স্বাধীনভাবে ইয়েমেন, লিবিয়া এবং সোমালিয়াতে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এজন্য আলাদা করে তাদের প্রেসিডেন্টের কাছে অনুমতি নিতে হবে না। শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তার সূত্রে সংস্থাটি দাবি করছে, প্রেসিডেন্ট নিজেই এ ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। খবরে বলা হয়, দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৫ দিন পর এক ডিনারে বসে ইয়েমেনে এক বিশেষ অভিযানের অনুমোদন দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১ ফেব্রুয়ারি নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত এক খবর থেকে জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও ট্রাম্প আল কায়েদার বিরুদ্ধে ওই অভিযানের অনুমোদন দিয়েছিলেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম স্টেট.কম-এর এক খবর অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্ত দিতে গোয়েন্দাদের পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজনটাও বোধ করেননি ট্রাম্প। ওই অভিযানে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু হত্যাকা-ের শিকার হয়েছিল। অভিযান চালাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন একজন মর্কিন সেনা। এবার সিএনএন জানিয়েছে, ইয়েমেন-সোমালিয়া-লিবিয়া এই তিন দেশের সন্ত্রাস মোকাবেলায় পরিচালিত অভিযানের সিদ্ধান্ত কমান্ডাররা নিজেরাই নিতে পারবেন। উল্লেখ্য, সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তানে ওবামা প্রশাসন আগেই ওই অনুমতি দিয়ে রেখেছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শীর্ষ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তার সূত্রে ওই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন সিআইএকে ড্রোন ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারে। ফেব্রুয়ারিতে সিআইএর ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছিলেন আল-কায়েদার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা আবু আল খায়ের আলমাসরি। আবারও সিআইএকে এভাবে ব্যবহার করা হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন তারা। দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্য শান্তি-প্রক্রিয়ায় ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধাননীতি অস্বীকারের মধ্য দিয়ে ইসরাইলি দমননীতিকে অনুমোদন করেন। ইয়েমেনে সউদি জোটের বিমান হামলায় অংশীদারিত্ব জোরদার করেন। তুরস্কের সঙ্গে সমন্বিতভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তার নির্দেশে তুরস্ক সফর করেন সিআইএ প্রধান। সবমিলে পুরনো ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় মধ্যপ্রাচ্যের চিরবন্ধু শক্তি সৌদি-তুরস্ককে নিয়ে ইরান-ফিলিস্তিনবিরোধী অবস্থান সুস্পষ্ট করেন তিনি। কংগ্রেসে সেই ধারাবাহিকতায় তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের বন্ধুপ্রতীম শক্তিগুলোকে নিয়েই তিনি আইএস মোকাবেলা করবেন। সেই আইএস মোকাবেলার কথা বলেই তিন দেশে মার্কিন কমান্ডারদের স্বাধীন অভিযান পরিচালনার ক্ষমতা দিলেন তিনি। ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যনীতিকে মার্কিন আগ্রাসনের বাসনা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। সিএনএন, ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।