Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

সপ্তম নৌবহরের নয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে মঙ্গলবার মার্কিন সপ্তম নৌবহরের নয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এদের মধ্যে অ্যাডমিরাল পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা রয়েছেন। অভিযুক্তরা সিঙ্গাপুরের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ঘুষের বিনিময়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের গোপনীয় ও অভ্যন্তরীণ তথ্য ফাঁস করেছিলেন। মার্কিন বিচার বিভাগের অভিযোগে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা ব্যয়বহুল সিগার, নৈশভোজ, হোটেল রুম ও দেহপসারিণীর সেবা নিয়েছেন। বিনিময়ে তারা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঠিকাদার লিওনার্দ গ্লেন ফ্রান্সিস ও তার কোম্পানি গ্লেন ডিফেন্স মেরিন এশিয়ার কাছে বিভিন্ন রণতরীর শিডিউল ও অন্যান্য গোপনীয় তথ্য হস্তান্তর করেছেন। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মোট ২৫ কর্মকর্তা ঘুষ গ্রহণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এদের অনেকেই সামরিক বিভাগে কর্মরত রয়েছেন। অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের অনেকে এরই মধ্যে দোষ স্বীকার করেছেন। অভিযুক্ত ঠিকাদার লিওনার্দ গ্লেন ফ্রান্সিস ২০১৫ সালে ঘুষ প্রদান ও ষড়যন্ত্রের কথা স্বীকার করেছেন। বর্তমানে তিনি সাজার অপেক্ষা করছেন। তার কোম্পানি গ্লেন ডিফেন্স মেরিন এশিয়ার দুই কর্মকর্তাও দোষ স্বীকার করেছেন। কোম্পানির অপর দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। তদন্তকারীরা অভিযোগ করেছেন, গ্লেন ফ্রান্সিস তার নিয়ন্ত্রণাধীন বন্দরে মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ ভেড়ানোর জন্য সামরিক কর্মকর্তাদের অর্থ, সুযোগ-সুবিধা ও দেহপসারিণী জুগিয়েছেন। নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যাতে মোটা অংকের ঠিকাদারি চুক্তিগুলো গ্লেন ফ্রান্সিসের করায়ত্ত হয়। সম্ভাব্য অন্য ঠিকাদাররা যাতে নিলাম ডাকে জয়ী হতে না পারেন, কর্মকর্তারা সেজন্য ষড়যন্ত্র করেছেন। ঘুষ গ্রহণের অভিযুক্তরা মার্কিন সপ্তম নৌবহরের অংশ। রাশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ভারত মহাসাগরে সপ্তম নৌবহরের ৬০টি জাহাজ, ২০০-র বেশি বিমান ও ৪০ হাজার সৈন্য মোতায়েন রয়েছে। মঙ্গলবার আদালতে উত্থাপিত অভিযোগে বলা হয়, কোটি কোটি ডলারের এসব দুর্নীতি আড়াল করতে কর্মকর্তারা ভুয়া নাম ও ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ পদাধিকারী হলেন রিয়াল অ্যাডমিরাল ব্রুস লাভলেস। মঙ্গলবার সকালে তাকে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওইদিন বিকালে তাকে সান দিয়াগোর ফেডারেল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট নিজেই তার জামিন হন। এর আগে গতবছর একই কেলেংকারিতে অ্যাডমিরাল রবার্ট গিলবুকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে ভুল তথ্য দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আনা হয়নি। মঙ্গলবার যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, তাদের মধ্যে নৌবাহিনীর চারজন অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন, একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল, একজন অবসরপ্রাপ্ত চিফ ওয়ারেন্ট অফিসার, দায়িত্বরত একজন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ও একজন কমান্ডার রয়েছেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ