মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ছয় দেশের নাগরিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা হাওয়াইয়ের একটি আদালত আটকে দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা আগেই হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের এক ফেডারেল বিচারক ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশকে আটকে দিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন জাতীয় নিরাপত্তার যে দোহাই দিয়ে ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারক ডেরিক ওয়াটসন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই স্থগিতাদেশকে অভূতপূর্ব বিচারিক কৌশল অ্যাখ্যায়িত করেছেন। বুধবার সন্ধ্যায় টেনেসির ন্যাশভিলে সমর্থকদের নিয়ে এক সমাবেশ শুরুর আগে ট্রাম্প বলেন, হাওয়াইয়ের আদালতের এই আদেশে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও দুর্বল করবে। এ বিষয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ারও অঙ্গীকার করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এর জন্য যতদূর যেতে হয় যাব, এমনকি সুপ্রিম কোর্টেও এবং আমরা অবশ্যই জিতব। গত ৬ মার্চ জারি করা এই আদেশে ছয়টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ৯০ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ডধারীদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় বুধবার রাতে ডিস্ট্রিক্ট জাজ ডেরিক ওয়াটসন এক আদেশে ওই নিষেধাজ্ঞা আটকে দিয়েছেন। যেসব অঙ্গরাজ্য মুসলিম নিষেধাজ্ঞা বন্ধের চেষ্টা করে যাচ্ছে, হাওয়াই হচ্ছে তারই একটি। এখন পর্যন্ত এ আদেশ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউস। জানুয়ারিতে ট্রাম্প আরোপিত মূল নিষেধাজ্ঞাটি আইনি চ্যালেঞ্জে হেরে যাওয়ার পর সম্প্রতি দ্বিতীয় দফায় নতুন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। আগের নিষেধাজ্ঞা সংশোধন করে নতুন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হলেও আদতে তা আগের নিষেধাজ্ঞার মতো করেই মুসলিমদেরকে টার্গেট করা হয়েছে। ক্ষমতা গ্রহণের পরই ২৭ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে এক নির্বাহী আদেশে সাত মুসলিম-প্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র সফরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশগুলো হলো- ইরাক, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেন। যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসবাদীদের প্রবেশ বন্ধের যুক্তি দেখিয়ে ওই আদেশ দেন ট্রাম্প। কিন্তু সমালোচকরা একে বৈষম্য বলে আখ্যায়িত করেন। নোবেল বিজয়ী শিক্ষা অধিকারকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা, বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ট্রাম্পের এ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেন। পরে সিয়াটলের একজন বিচারক ট্রাম্পের ওই নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের আদেশ দেন। ট্রাম্প প্রশাসন ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলেও সান-ফ্রান্সিসকোভিত্তিক তিন বিচারকের প্যানেল তা খারিজ করেন। এরপর সাত মুসলিম-প্রধান দেশের নাগরিকদের ওপর স্থগিত হয়ে যাওয়া নিষেধাজ্ঞা সংশোধন করে ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। নতুন জারি করা নিষেধাজ্ঞায় আগের তালিকায় থাকা ইরাককে বাদ দেওয়া হয়। তবে অপর ছয়টি দেশের নাগরিকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হয়। প্রসঙ্গত, শরণার্থীদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ রাখা হয়েছে ১২০ দিন, যা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ১৬ মার্চ থেকে। এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে গত সপ্তাহেই মামলা করে হাওয়াই অঙ্গরাজ্য। জানুয়ারিতে ট্রাম্পের প্রথম নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধেও মামলা করেছিল হাওয়াই; নতুন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আগের মামলাই সংশোধন করে দাখিল করা হয়। সংশোধিত আকারে দেওয়া ট্রাম্পের নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়। রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।