গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : চিকিৎসাসেবা আইনটি অসঙ্গতিপূর্ণ। এ নিয়ে আরো বিস্তর আলোচনা করা প্রয়োজন। এ আইনের অধীনে চিকিৎসক এবং রোগী উভয়ের সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকতে হবে। কোনোভাবেই যেন কেউ মনে না করে, এটা কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য করা হয়েছে। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বক্তারা। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ স্বাচিপ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত ‘চিকিৎসাসেবা আইন-২০১৬’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
বৈঠকে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. আ ফ ম রুহুল হক (এমপি) বলেন, আইন নিয়ে আরো আলোচনা-পর্যালোচনা প্রয়োজন। কারণ আইনটিতে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। কোনোভাবেই যেন মনে না হয়, এটা ডাক্তারদের স্বার্থে করা হয়েছে। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কারো কোনো অভিযোগ থাকলে অবশ্যই প্রথমে বিএমডিসিতে জানাতে হবে। খসড়া আইনে চিকিৎসকদের প্যাথলজি থেকে কমিশন গ্রহণের বিষয়টি উল্লেখ থাকায় তিনি বলেন, একসময় সব উন্নত দেশেই এ ব্যবস্থা চালু ছিল। কিন্তু পর্যায়ক্রমে তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আমাদের দেশেও এটা নিয়ন্ত্রণে আনা প্রয়োজন। কারণ এটা দিন দিন বাড়ছে। তবে এর জন্য তিনি চিকিৎসকদের চেয়ে প্যাথলজি ব্যবসায়ীদের দায়ী করেন।
সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক রাহাত খান বলেন, আইনে সবার সমান অধিকার থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে কারো জন্য বেশি বা কারো জন্য কম সুযোগ দেয়ার অবকাশ নেই। তা ছাড়া রোগী মারা গেলেই ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা যাবে না। কারণ ডাক্তাররাও মানুষ। তাদেরও ভুল হতে পারে। মনে রাখতে হবে, চিকিৎসক আইনজীবী, সাংবাদিক এরা শুধু চাকরিই করেন না, এরা দেশের মানুষের সেবাও করেন।
দৈনিক সমকাল পত্রিকার সম্পাদক গোলাম সারওয়ার বলেন, খাসড়া আইনে সেবা গ্রহিতার সুরক্ষার কোনো কিছুই নেই। আইনটি মনে হচ্ছে চিকিৎসকদের রক্ষার্থে। আইনে দায়মুক্তির একটি বিষয় রয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া আইনে তথ্য অধিকার বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই। এই বিষয়টি রাখা অত্যান্ত জরুরি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।