Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

দ. চীন সাগরে নতুন করে সামরিক নির্মাণ কাজ শুরু করেছে বেইজিং

| প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : দক্ষিণ চীন সাগরে নতুন করে সামরিক নির্মাণ কাজ শুরু করেছে বেইজিং। স্যাটেলাইটে প্রাপ্ত ছবিতে দেখা যায়, দক্ষিণ চীন সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথে সামরিক অবস্থান শক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ। ৬ মার্চের স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত এক ছবিতে দেখা যায়, নর্থ আইল্যান্ডে নতুন করে সামরিক সরঞ্জাম স্থাপন করছে চীন। প্ল্যানেট ল্যাবস-এর বেসরকারি স্যাটেলাইট থেকে নেওয়া ছবিতে আরও জানা যায়, একইভাবে ট্রি আইল্যান্ডসহ অন্যান্য দ্বীপেও সামরিক তৎপরতা চালাচ্ছে চীন। ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানের পক্ষ থেকেও এই দাবি জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বিরোধ কমিয়ে আনার আহŸান জানানো হলেও নিজেদের শক্ত নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে ওই দ্বীপগুলোর মধ্যে সামরিক সংযোগ বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে চীন। অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্স ফোর্স একাডেমির দক্ষিণ চীন বিশেষজ্ঞ কার্ল থ্যায়ার বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা কর্তৃপক্ষের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য প্যারাসেলস দ্বীপপুঞ্জ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, তারা ওই অঞ্চলে সামরিকায়নে বদ্ধপরিকর। আনুষ্ঠানিকভাবে যা-ই বলা হোক না কেন, তারা সেখানে ধীরে ধীরে সামরিকায়ন চালিয়ে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নর্থ আইল্যান্ডে নতুন সামরিক নির্মাণ কাজের বিষয়ে তারা অবগত নয়। তবে এক বিবৃতিতে চীন উল্লেখ করেছে, জিসা আইল্যান্ড (প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের চীনা নাম) চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ১৯৭৪ সালে চীনা নৌবাহিনী অভিযান চালিয়ে তৎকালীন দক্ষিণ ভিয়েতনামের কাছ থেকে ওই দ্বীপপুঞ্জ দখল করে নেয়। এর আগে গত সপ্তাহে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং উই জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনা কমিয়ে আনার একটি খসড়া তারা প্রস্তুত করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, নর্থ আইল্যান্ডে চীনা সামরিক পদক্ষেপের বিষয়টি নিশ্চিত করা না গেলেও এমন কিছু হলে তিনি অবাক হবেন না। তিনি আরও বলেন, চীন কেবল সামরিকায়নের জন্যই ওই দ্বীপগুলোতে নিজের উপস্থিতির জানান দিচ্ছে। এখানে আর কোনও কারণ থাকতে পারে না। উল্লেখ্য, দক্ষিণ চীন সাগরের সাত কৃত্রিম দ্বীপ ও অন্যান্য বিরোধপূর্ণ দ্বীপে বেইজিং ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার কাজ চালিয়ে আসছে কয়েক বছর ধরে। এসব দ্বীপে বিমান-বিধ্বংসী ও ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী ব্যবস্থা স্থাপন করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। গতবছর জুন-জুলাই মাসে দ্বীপগুলোতে এই ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের কাজ শুরু হয়। এসব দ্বীপে বিমান চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় এয়ারস্ট্রিপও নির্মাণ করা হয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা নিয়ে চীনের সঙ্গে বেশ কয়েকটি দেশের বিরোধ চলে আসছে। মার্কিন নৌবাহিনীর উপস্থিতি নিয়েও মাঝে মধ্যেই চীন-মার্কিন সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করে। চীনের পাশাপাশি দক্ষিণ চীন সাগরে পানি সীমার মালিকানা দাবি করে আসছে তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও ব্রæনেই। এ অঞ্চলটি মৎস্য আহরণের অন্যতম ক্ষেত্র। এছাড়া তেল-গ্যাসসহ বেশ কিছু খনিজসম্পদ রয়েছে। প্রতিবছর এ অঞ্চলে ৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সামুদ্রিক বাণিজ্য হয়। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ