Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

আইএসের মসুল কমান্ডার আল আনসারি নিহত

| প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মসুলের পুরনো শহর অঞ্চলের ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কমান্ডারকে হত্যা করেছে ইরাকি সরকারি বাহিনী। কেন্দ্রীয় পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার বাব আল টোব এলাকায় জঙ্গিমুক্ত করার অভিযান চলার সময় কেন্দ্রীয় পুলিশ পুরনো শহর অঞ্চলের আইএসের সামরিক কমান্ডার আবু আব্দুল রহমান আল আনসারিকে হত্যা করে। আইএসের অনেক নেতা মসুল থেকে পশ্চাৎপসারণ করলেও আল আনসারি রয়ে গিয়েছিলেন। পুরনো এলাকাটি আইএসের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য রাস্তায় রাস্তায় এবং বাড়িতে বাড়িতে লড়াইরত যোদ্ধাদের পরিচালনা করছিলেন তিনি। তার মৃত্যুতে লড়াইরত আইএস জঙ্গিরা বিপর্যয়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মসুল পুনরুদ্ধারে চলা লড়াই এখন তাইগ্রিস নদীর একটি লোহার সেতুকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যাঘাত হলেও মঙ্গলবার ফের তীব্র লড়াই শুরু হয়। মসুলের বাসিন্দারা সরকারি বাহিনীর পুনরুদ্ধার করা পশ্চিমাংশে গিয়ে জড়ো হচ্ছে। তারা শীতার্ত ও ক্ষুধার্ত হলেও জঙ্গিদের হাত থেকে নিস্তার পেয়ে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে। আইএসের লক্ষ্যভেদীদের কারণে ইরাকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ অভিজাত বাহিনী র‌্যাপিড রেসপন্স ইউনিটের গতি মন্থর হয়ে পড়েছে। তারপরও পূর্ব ও পশ্চিম মসুলের মধ্যে সংযোগকারী লোহার সেতুটি ধরে একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে বাহিনীটি, জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। লোহার এই সেতুটি পুনরুদ্ধার করতে পারলে তাইগ্রিস নদীর পাঁচটি সেতুর মধ্যে তিনটি ইরাকি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আসবে। সর্ব দক্ষিণের দুটি সেতু ইতোমধ্যেই সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে সবগুলো সেতুই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর বিমান হামলায় ও জঙ্গিদের বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সেতুগুলোর পাশাপাশি পশ্চিম মসুলের অন্যান্য দিক থেকেও শহরটির ভিতরে থাকা জঙ্গিদের চেপে ধরেছে সরকারি বাহিনী। চাপ যত বাড়ছে জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রিত এলাকার পরিধি ততই সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। মসুল মূলত তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের রাজধানী হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এই শহরের পুরনো অংশের আল নুরি মসজিদ থেকেই ২০১৪ সালে ইসলামী খিলাফত ইসলামিক স্টেট-এর ঘোষণা দিয়েছিলেন জঙ্গিগোষ্ঠীটির প্রধান আবু বকর আল বাগদাদি। তাই আইএসবিরোধী অভিযানে এই শহরটির পুনরুদ্ধার খুব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হয়ে উঠবে। খবরে বলা হয়, আইরন ব্রিজ দখলের মাধ্যমে মসুলের পাঁচটি ব্রিজের তিনটিই এখন ইরাকের নিয়ন্ত্রণে। ব্রিজগুলো আইএস ও যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহদি আব্বাস আবদুল্লাহ বলেন, আমরা এখনো আইরন ব্রিজ এলাকা মুক্ত করার জন্য অগ্রসর হচ্ছি। সামনে লুকিয়ে থাকা স্নাইপারদের হত্যা করেই আমাদের এগোতে হচ্ছে। মসুল জাদুঘরের কাছে ইরাকি বাহিনী ট্যাংক দিয়ে স্নাইপারদের উপর হামলা চালাচ্ছে। এছাড়া বিমান হামলার মাধ্যমেও পরাস্ত করা হচ্ছে আইএসকে। অক্টোবরে এই লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে মার্কিন জোটের সহায়তায় ইরাক মসুলের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের ৩০ শতাংশ পুনরুদ্ধার করেছে। মসুলে আইএসের জিম্মিদশার কবলে পড়েছে প্রায় ৬ লাখ বেসামরিক। ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ২ লাখ স্থানীয়। দেশটির অভিবাসন মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিদিন প্রায় ১৩ হাজার ঘরহারা ইরাকিদের মানবিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। রয়টার্স, ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ