পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
খুলনা ব্যুরো : বসন্তের হঠাৎ বর্ষায় এ মৌসুমে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে ধান। ফলে বিমর্ষ অবস্থা থেকে সতেজতা ফিরে পেয়েছেন কৃষকরা। নতুন করে বোনা তিল ও মুগ মারা যাওয়ার হুমকি থেকেও রক্ষা পেয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি খুলনা’র উপ-পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে বর্ষা হয়। কিন্তু এ বছর বর্ষা হতে ১৫-২০ দিন দেরি হয়েছে। এ কারণে মাঠের ফসলগুলো পানির অভাবে প্রায় ওষ্ঠাগত। তাছাড়া লবণাক্ত এলাকা হওয়ায় পানির অভাবে লবণাক্ততা বেড়ে যায়। আর এই লবণাক্ততা ফসলের জন্য ক্ষতিকর।
জেলার ডুমুরিয়া, দাকোপ, বটিয়াঘাটা ও পাইকগাছা উপজেলায় সাধারণত অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি ধান চাষ করা হয়। এর মধ্যে ডুমুরিয়া এলাকায় ধান চাষ বেশি হয়। ডুমুরিয়া এলাকায় দুই পাশে দু’ধরনের পরিবেশ বিরাজমান। এক পাশে লবণাক্ততা বেশি এবং অন্য পাশে লবণাক্তের পরিমাণ কিছুটা কম। বৃষ্টি না হওয়ায় এ এলাকায় ধান ক্ষেতে পানির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছিলো। অপরদিকে পানির অভাবে মাঠির লবণাক্ততা বৃদ্ধি পায়। সাধারণত ধানের ছড়ি ফুটে বের হলে অন্যান্য সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ পানির প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই সময় বৃষ্টি না হওয়ায় চাষিরা চাহিদা মতো ধানে পানি সরবরাহে হিমশিম খাচ্ছিল। সেচ কাজের জন্য নিয়োজিত মেশিন মালিকদেরও অর্থ সরবরাহে কষ্ট হচ্ছিল। মাঠে একবার সেচ দিলে একটু পরই মাঠ আবার শুকিয়ে যায়। এ জন্য আবার পানি দিতে হয়। কিন্তু একটু দেরীতে হলেও প্রকৃতির পানিতে সকল ফসলের জীবন নতুনভাবে ফিরে পেয়েছে। এ সময় বৃষ্টি না হলে ধান বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতো। ফলে ধানের অনেক ক্ষতি হতো।
রবিজাত শস্য সরিষা ও মশুর মাঠ থেকে অধিকাংশ ঘরে উঠেছে। আর কিছু মাঠে সরিষা আছে। সেগুলো বৃষ্টিতে উপকার পেয়েছে। বটিয়াঘাটা, দাকোপ, ডুমুরিয়া ও পাইকগাছায় নতুন করে তিল ও মুগ বীজ বপন করা হচ্ছে। অনেকের জমিতে পানির জো না থাকায় বীজ বপন করতে পারছিলো না। আর অনেকের বীজ বপনের পরে পানির অভাবে বীজ ফুটছিলো না। তবে এ বৃষ্টির কারণে মাটি তার জলীয় অবস্থা ফিরে পাওয়ায় সকল ফসলের পানির চাহিদা পূরণ করছে। এ রকম আরো দু’একবার বর্ষা হলে ফসলের কোন ক্ষতি হবে না। বরং ফসলের উপকার হবে।
কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা’র উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল লতিফ জানান, দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় ধীরে ধীরে ফসলের পানির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছিলো। কিন্তু এ বৃষ্টির ফলে সকল ফসলের উপকার হয়েছে। তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি উপকার হয়েছে ধানের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।