বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লোহাগড়া (নড়াইল) উপজেলা সংবাদদাতা : আইনের প্রয়োগ না থাকায় লোহাগড়া উপজেলার উত্তরাঞ্চলের সাথে যোগাযোগ রক্ষার একমাত্র ব্যস্ততম যানবাহন চলাচলকারী লোহাগড়া-লাহুড়িয়া সড়কটি এখন স্থানীয়দের ফসল মাড়াইয়ের আঙিনায় পরিণত হয়েছে। প্রায় ২৫ কিলোমিটার পাকা সড়কের অধিকাংশ এলাকাজুড়ে দু’ধারে বসবাসকারী গ্রামবাসীরা তাদের সারা বছরের ফসল পাকা সড়কে রৌদ্রে শুকায়। কখনো কখনো সড়কের ওপরেই চলে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে মাড়াই কাজ। এছাড়া তারা সড়কে চলাচলকারী গাড়ির দ্বারাও মাড়াই কাজ করছে। এভাবে ব্যস্ততম পাকা সড়কে ফসল শুকানো ও মাড়াইয়ের কারনে প্রতিদিন সড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা। ঘটছে প্রাণহানির মতো ঘটনা। বর্তমানে রবি মৌসুমে কলাই, মশুরী,সরিষা সড়কের ওপর ফেলে রাখা হচ্ছে। চলাচলকারী গাড়ির চাকায় মাড়াইয়ের পর সড়কজুড়ে ফসলের উচ্ছিষ্ট ময়লা উড়িয়ে পরিষ্কার করা হয়। ফলে সড়কে চলাচলকারী স্কুল, কলেজ ও অফিসগামী যাত্রীরা ধুলা আর ময়লায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। ওই রাস্তায় নিয়মিত চলাচলকারী চরশালনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা চন্দনা চট্রোপাধ্যায় এবং শিয়রবর এস এইচ বি আর আলিম মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষিকা আম্বিয়া খাতুন ও জোবাইদা গুলশানারা জানান,রাস্তার ফসলের ধুলার কারনে আমাদের যাদের শ্বাস কষ্টের সমস্যা আছে, তাদের মারাত্মৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃক শ্বাস কষ্ট বেড়ে যাচ্ছে। আমরা যাতে রাস্তায় নির্বিঘেœ যাতায়াত করতে পারি, সে বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। সড়কে ফসল রাখায় প্রতিদিন চলাচলকারী অসংখ্য মোটর সাইকেল, বাই সাইকেল, ভ্যান, জেএস, লেগুনার যাত্রীদের স্বাভাবিক চলাচল যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি বাড়ছে দুর্ঘটনা। কিছু দিনের মধ্যে রাস্তায় ফেলে মাড়াই করা হবে গম। এই গমের গাছ এবং গম অত্যন্ত পিচ্ছিল হওয়ায় দুর্ঘটনার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় আরো কয়েকগুন। গত বছর ওই রাস্তার নারান্দিয়া নামক স্থানে মোটর সাইকেল আরোহী লোহাগড়া বাজারের স্বর্ন কারিকর ট্রাককে সাইড দিতে গিয়ে রাস্তায় থাকা গমের ওপর স্লিপ করে পড়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। এছাড়া প্রতিদিনই নছিমন, লেগুনা ও মোটর সাইকেল চালকসহ রাস্তায় চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। চিরতরে পংগু হয়ে অনেকেই ঘরে পড়ে আছেন । মোটর সাইকেলে প্রতিদিন চলাচলকারী রিজাউল করিম,ইকবাল হোসেন, স্বপন টিকাদার জানান, চাকরির কারণে প্রতিদিন আমাদের যাওয়াই লাগে। কিন্তু রাস্তা জুড়ে যেভাবে ফসল মাড়াই করে, তাতে আমাদের জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। জেএস চালক কামরুল ইসলাম জানান, রাস্তায় ফসল মাড়াইকারীরা গাড়ির হর্ন শুনেও সরে দাড়ায় না। ফলে গাড়ির জরুরি ব্রেক ধরলে স্লিপ করে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। অথচ প্রতিদিন উপজেলা প্রশাসনের বড় বড় কর্তা ব্যক্তিরা চলাচল করলেও বিষয়টি কেউ আমলে নেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।