Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাঁঈজীর ধাম ছেড়ে আপন নিড়ে ফিরছেন বাউলরা

| প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার, কুষ্টিয়া থেকে : বাউল শিরোমণি ফকির লালন শাহ স্মরণে দোল উৎসবের ৩ দিনব্যাপী আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। অষ্ট প্রহরের সাধুসংঘ শেষ হওয়ায় আখড়াবাড়ি ছেড়ে সাধুরা রওয়ানা হয়েছেন নিজ নিজ আশ্রমে। সাধক আর বাউলদের ছাড়া নামমাত্র আলোচনা অনুষ্ঠান আর সাংস্কৃকিত অনুষ্ঠান চলবে রাত পর্যন্ত। মেলা থাকবে আরো দু’দিন।
সরেজমিন আখড়াবাড়ি ঘুরে দেখা যায়, গেরুয়া বসনে শোভিত বাউলদের আসর এখন অনেকটাই ফাকা। রোববার দুপুরের পর থেকে ফাঁকা হতে শুরু হলেও গতকাল সোমবার সকাল থেকে সাধন সঙ্গিনী, শিষ্যদের নিয়ে দলে দলে সাঁঈজীর ধাম ছাড়ছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা সাধুরা। তবে বিদায়ে আগে সাঁঈজীর ধাম এর পরিবেশ হয়ে উঠেছে ভারী ও মায়াময়।
বিদায় নেয়ার সময় সাধুরা ধরে রাখতে পারেননি চোখের জল। নিজে কেঁদেছেন, কাঁদিয়েছেন শিষ্যদেরকে। গুরু শিষ্যের চোখের জলে মন ভেসেছে লালন অনুসারী আর দর্শনার্থীদের।
লালন সাধক হৃদয় শাহ বলেন, লালন সাধকরা বিশ্বস করেন তাদের সব কিছুর মূলে গুরু। গুরুকে ভজে তারা পরমত্মার সন্ধান করে ফেরেন। সেই গুরুকে বারবার প্রণাম ও নানা রকম ভক্তি জানিয়ে বিদায় নেন শিষ্যরা। তাই বিদায় বেলায় সাধুরা তাদের চোখের জল ধরে রাখতে পারেনা না।
লালন মাজারের প্রধান খাদেম ফকির মহম্মদ আলী শাহ বলেন, মায়া আর বস্তু। মায়া ত্যাগ করে বস্তুর সন্ধান করে ফেরে সাধকরা। বস্তুর চেতনা থেকে মানবপ্রেমকে জাগ্রত করা যায়। যার মধ্য দিয়ে একজন মানুষের পূর্ণতা আসে। এমন দীক্ষায় দিক্ষিত সাধকরা দোল পূর্ণিমায় যোগ দিয়ে দিয়ে ধন্য হয়েছেন। আরা আবারও আসবেন তিরোধানের স্মরণোৎসবে।
সাধুরা বাড়ির পথ ধরলেও রাতে লালন মঞ্চে চলবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কালী নদীর সামনের মাঠে বসা মেলা চলবে আরো দু’দিন। মেলার দোকানীরা জানালেন, আবহাওয়া খারাপ থাকায় বিকিকিনি খুব একটা জমে উঠেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাউলরা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ