বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার অফিস : গত দু’দিনের আকষ্মিক বৃষ্টিতে কক্সবাজারের ইটভাটা, লবণ মাঠে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। শহরের রাস্তা-ঘাট নালা-নর্দমার বেহাল দশা। স্থানীয়দের অভিযোগ পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসিনতাই দায়ী।
পর্যটন শহর কক্সবাজার সড়ক উপ-সড়কসমুহ দেখলে মনে হবেনা যে, এটি পর্যটন শহরের সড়ক। ড্রেনের ময়লা আবর্জনা পথে স্তুপ হয়ে আছে। মূলসড়ক ছাড়া বিভিন্ন অলিগলির যে বেহাল অবস্থা এতে মনে হয়না এটি পর্যটন শহর। নিয়মিত নালা নর্দমার আবর্জনা না সরাানোর কারণে বাতাসে পঁচাগন্ধ ছড়াচ্ছে। গত দুইদিনের বৃষ্টিতে পর্যটন শহর কক্সবাজারের প্রায় বাসাবাড়ি, নালা-নর্দমার পানি ঢুকে পড়েছে। একই সাথে নষ্ট হয়েছে, শতাধিক ইটভাটা, পানের বরজ ও লবণ মাঠের শত কোটি টাকার সম্পদ।
শহরের কলাতলীর হোটেল মোটেল জোনের রাস্তা-ঘাট, নালা নর্দমা, নূরপাড়া, পেশকারপাড়া, লালদিঘীর পাড়, বড় বাজার, বাজার ঘাটা, বার্মিজ মার্কেট, আলির জাহাল, গোলদিঘীর পাড়সহ বিভিন্ন পয়েন্ট সরেজমিনে পরির্দশন করে দেখা গেছে এই বেহাল দশা। সড়কের নালা বন্ধ থাকায় নালার পানি সড়কে উঠে সড়ক আর্বজনায় পূর্ণ হয়ে গেছে। এতে পথ চলাচলে চরম র্দূভোগ পোহাচ্ছে শত শত পর্যটক ও শহরবাসী। সড়কে এমন দশায় র্দূভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল-কলেজ-ছাত্র-ছাত্রী, অফিসগামী ও ব্যবসায়িসহ পথচারিদের।
বিশেষ করে শহরের বড়বাজার, বাজার ঘাটা, নূরপাড়া, পেশকারপাড়া, টেকপাড়ার বেহাল দশা। ড্রেনের ময়লার কারণে এখানকার অধিকাংশ বাসাবাড়িতে বসবাসও দায় হয়ে গেছে। এলাকার স্কুল-কলেজ-মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীদের মারাত্মক কষ্টে পড়ছে। সাধারণ পথচারীদেরও অবর্ণনীয় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আজিজুল হাসান জানান, হাসপাতাল সড়কসহ শহরের অন্তত ১২টি নালার পানি এই এলাকার নালা দিয়ে প্রবাহিত হয়। ইদানিং নালা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ, আবর্জনা পরিস্কার না করার কারণে ড্রেন ভরে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা এডভোকেট মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম জানান, বেপরোয়া নালা-নর্দমা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করায় ড্রেনের পানি বাসাবাড়িতে ঢুকে পড়ছে। সামান্য বৃষ্টিতে সড়কে চলাচল করা অনেকটা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তিনি মনে করেন, ড্রেনের উপর নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ না করলে আগামীতে আরো কঠিন অবস্থা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলহাজ ডা. মোহাম্মদ আমিন, আমিনুল ইসলাম মুকুল, নুরুল আবছার সিকদারসহ অনেকেই জানান, পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে পৌর শহরের বেহাল অবস্থা। তারা জনদূর্ভোগ লাঘরে পৌর মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমান জানায়, হাঠাৎ বৃষ্টি হওয়াতে পাহাড়ের বালি ড্রেনে পরে ড্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়াতে সড়কের এমন দশা হয়েছে। তবে খুব দ্রুত সড়ক পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হচ্ছে। আর ড্রেনেজ ব্যবস্থাও নজর দেওয়া হবে।
তবে সাবেক পৌর কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক জানান, পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে পর্যটন শহরে কক্সবাজারের বদনাম হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।