মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান ভারতকে চীনের প্রতিপক্ষ বানাবার চেষ্টা করছে। এ ফাঁদে ভারতের পা দেয়া ঠিক হবে না এবং ভারত যদি তা করে, তাহলে ভারতকে ব্যাপক হুমকির মুখে পড়তে হবে। চীনের রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত গ্লোবাল টাইমস পত্রিকার সম্পাদকীয়তে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, ওয়াশিংটন চাচ্ছে ভারত মহাসাগরে চীনের প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতকে দাঁড় করাতে। অন্যদিকে টোকিও’রও ইচ্ছা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শক্তির ভারসাম্য রক্ষা করতে ভারত চীনের প্রতিপক্ষ হিসেবে গড়ে উঠুক। এ সবই ভারতের জন্য কৌশলগত সুবিধার অংশ হতে পারে। তবে, মূলত এগুলো ভারতকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ভারত যদি একবার তাদের কবলে পড়ে, তাহলে সে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের কাছে জিম্মি হয়ে থাকবে এবং অনেক সুযোগ হারাবে, যা ভারতের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দেবে। সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, একটি শক্তিধর দেশ হিসেবে ভারত যদি তার নিরাপত্তার জন্য বিদেশী শক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে ওঠে, তাহলে তা হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। ভারতের উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে ভালো পথ হচ্ছে, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করা এবং সিল্ক রোডের মতো আঞ্চলিক উন্নয়ন কর্মসূচিগুলোতে যোগদান করা। এতে আরও বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিন্তাভাবনা অনুযায়ী এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধির কারণে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। এর একটি সমাধান হওয়া দরকার। চীনা পত্রিকাটিতে বলা হয়, এতকিছু সত্তে¡ও চীনের উত্থানকে থামিয়ে রাখা যাবে না। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তায় চীন ও ভারও উভয়েরই বড় ধরনের ভূমিকা রাখা জরুরি। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের মধ্যে টেলিকথনে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার ব্যাপারে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রে মতৈক্যের কথা উল্লেখ করে সম্পাদকীয়তে বলা হয়, চীনের সঙ্গে ভারতের যে বড় ধরনের গ্যাপ রয়ে গেছে, সে ব্যাপারে ভারতকে আরও সতর্ক হতে হবে। প্রতিযোগিতার বাজারে চীন ও ভারতের মধ্যে যে বাণিজ্যিক ব্যাধান তৈরি হচ্ছে, নতুন দিল্লীও সে ব্যাপারে সচেতন আছে। সহযোগিতামূলক সম্পর্কের মাধ্যমে ভারত তার ভূমিতে চীনের রেলপথ, বন্দর ও পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারে। চীন ও ভারতের মধ্যে পারষ্পরিক বিশ^াস শুধু উপলব্ধির বিষয় নয়, তারা নিজেদের কি ভাবে দেখতে চায়, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। শুধু যখন একটি দেশ তার উন্নয়ন, শক্তি ও সুযোগসুবিধা সম্পর্কে খুব বেশি আস্থাশীল থাকে, তখন তার সীমান্ত কৌশলও অনুভূমিক হবে। ভারত মহাসাগরসহ চীনের যে অল্পকিছু প্রকল্প রয়েছে, বড় শক্তি হিসেবে অর্থনীতির বিশ^ায়নের যুগে পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে তা নিতান্তই প্রয়োজন। চীনা পত্রিকার সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, ভারত যদি তার নীতি-কৌশল পরিবর্তন করে, তাহলে হুমকির চেয়ে সুযোগই সৃষ্টি হবে বেশি। পিটিআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।