Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রেসিডেন্সিয়াল দায়মুক্তি হারিয়ে বিচারের মুখে পার্ক জিউন

| প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : অবশেষে সরকারি বাসভবন বøু হাউস ছেড়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাই। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার দুইদিন পর গতকাল প্রেসিডেন্টের বাসভবন ছেড়েছেন তিনি। এরই মধ্যে সিউলের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত নিজস্ব বাসভবনে উঠেছেন পার্ক। এর আগে গত শনিবার পার্কের গ্রেফতার চেয়ে তার বিরোধীরা এবং তার অভিশংসনের বিরোধিতা করে সমর্থকরা আলাদা আলাদা র‌্যালি করেছে। উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে নেয়া প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাইয়ের অভিশংসনের সিদ্ধান্ত শুক্রবার বহাল রাখে দেশটির সাংবিধানিক আদালত। এই চূড়ান্ত অভিশংসনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। পার্ক জিউন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট, মেয়াদ শেষের আগে যিনি দায়িত্ব ছাড়তে বাধ্য হলেন। শুক্রবার দেশটির সাংবিধানিক আদালতের ৮ বিচারপতির প্যানেল সর্বসম্মতিক্রমে পার্ক জিউনকে অভিশংসিত করার ব্যাপারে পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তটি বহাল রাখে। এর মধ্য দিয়ে ।
সাংবিধানিক আদালতের রায়ের পর এখন পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি পার্ক। প্রেসিডেন্টের বাসভবন অর্থাৎ বøু হাউসও ছাড়ছিলেন না তিনি। গতকাল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিশংসিত হওয়ার দুইদিন পর অবশেষে বøু হাউস ছেড়েছেন পার্ক জিউন হাই। স্থানীয় সময় গতকাল সন্ধ্যা ৭টার কিছু সময় পরই কর্মচারীদের বিদায় জানিয়ে বøু হাউস ছাড়েন তিনি। পরে একটি মোটর শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে তাকে স্যামসিয়ং এলাকায় অবস্থিত নিজ বাসভবনে পৌঁছে দেওয়া হয়। সেসময় জাতীয় পতাকা হাতে শত শত সমর্থক জড়ো হন। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ফেব্রæয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন পার্ক। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে। পার্কের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, নিজ ক্ষমতার অধীনে তিনি তার বন্ধুকে দুর্নীতি করার সুযোগ করে দেন। পার্ক জিউন-হাইয়ের বন্ধু চোই সুন-সিল প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্কের সুবাদে অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদানের নামে ৬৫.৫ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেন। এর মধ্যে স্যামসাং এবং হুন্দাই-এর মতো কোম্পানিও রয়েছে। ওই অর্থ সন্দেহভাজন একটি ফাউন্ডেশনের নামে নেওয়া হয়। পরে তিনি সেখান থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হন। পার্ক জিউনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বন্ধুকে ওই অর্থ তুলতে সাহায্য করেন। তিনি চোই সুন-সিলকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি চোই-এর রাষ্ট্রীয় নথি ফাঁস করতে সহযোগীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অথচ প্রেসিডেন্টের বন্ধু চোই কোনও রাষ্ট্রীয় পদেই নেই।
গত ডিসেম্বর থেকে পার্ককে প্রেসিডেন্ট হিসেবে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে রাখা হয়েছিল। আর এ সময় প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার পার্ক জিউন হাইকে অভিশংসিত করা নিয়ে পার্লামেন্টের নেওয়া সিদ্ধান্তটি বহাল রাখে আদালত। দেশটির সাংবিধানিক আদালতের আট বিচারপতির প্যানেল সর্বসম্মতিক্রমে পার্ক জিউনকে অভিশংসিত করার ব্যাপারে পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তটি বহাল রাখে। সূত্র : ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ