নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শামীম চৌধুরী, কলম্বো (শ্রীলঙ্কা) থেকে : এর আগে বহুবার শ্রীলঙ্কা সফর করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তবে এবারের সফরটি কিছুটা বাড়তি রোমাঞ্চ ছাড়ানো বলা যেতেই পারে। প্রথমত, সর্বশেষ দ্বীপ দেশটি থেকে সুখের স্মৃতি নিয়ে মুশফিকদের ফেরা, আর এবার শততম টেস্ট ম্যাচের ঐতিহাসিক যাত্রা। সে লক্ষ্যে গলে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি টাইগারদের। তবে আগামী বুধবার থেকে কলম্বোতে শুরু হতে যাওয়া শততম টেস্টের মাইলফলকের আগে কিছুটা কি রোমাঞ্চিত নয় হাতুরু বাহিনী? বলাই বাহুল্য। তাই বলে বিশ্রামেরও কি প্রয়োজন নেই? আছে বৈকি! আর তাইতো শততম টেস্টের ভেন্যু কলম্বোতে একদিন আগে পৌঁছেও গতকাল অনুশীলনের কোন বাধ্য-বাধকতা ছিলো না মুশফিকদের। পি সারা ওভাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে টাইগারদের মাইলফলক ছোঁয়ার ম্যাচটি। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত পি সারা ওভাল। মাঠের চারপাশে কোন গ্যালারি ও ফ্লাডলাইট নেই। দেখতে অনেকটা ঢাকার ক্লাব আবাহনীর মাঠের মত। তবে পার্থক্য হল ধানমন্ডিতে আবহানী মাঠে আউট ফিল্ড, উইকেট এবং ছোট্ট একটা গ্যালারিও আছে। মিডিয়ার জন্য নেই কোন স্থায়ী অবকাঠামো। তবে পি সারা ওভালে মিডিয়া ও খেলোয়াড়দের জন্য স্থায়ী অবকাঠামো আছে।
লঙ্কানরা গতকাল অনুশীলন না করলেও, বাংলাদেশ টেস্টের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা কিন্তু বসে নেই। বেশ কিছুক্ষণ ঘাম ঝড়িয়েছেন। আগের দিন রাতে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ইমরুল কায়েস। গতকাল তিনি গল টেস্টে একাদশের বাইরে থাকা পাঁচ ক্রিকেটারের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন। তারা হলেনÑ কামরুল ইসলাম রাব্বি, রুবেল হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, সাব্বির রহমান ও তাইজুল ইসলাম। ক্রিকেটাররা যখন ঐচ্ছিক অনুশীলন করছিল, তখন সেটা দেখতে এসে প্রথমে উইকেট দেখতে যান টাইগারদের হেড কোচ হাথুরুসিংহে, বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ, ব্যাটিং কোচ থিলাম সামারাভিরা ও ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। উইকেট দেখে নিজেদের মধ্যে কিছুটা আলাপ-আলোচনাও সেরে নেন বাংলাদেশ দলের এই চার মূল ব্যক্তি।
গল টেস্টে ২৫৯ রানে হারের পর শততম টেস্ট বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ বটে। সেই চ্যালেঞ্জ টপকাতে হলে বাংলাদেশকে তিন বিভাগেই ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। নয়তো কলম্বোর পুরানো রেকর্ডের বুকে আরও একটি রেকর্ড জমা পড়বে। কেন না পি সারা ওভালে বাংলাদেশের টেস্ট রেকর্ড খুবই বাজে। ২০০২ সালে এই ভেন্যুতে প্রথমবার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। প্রথম লড়াইয়ে ইনিংস ও ১৯৬ রানে হার মানে লাল-সবুজরা। এমনকি এ মাঠে ২৫.২ ওভারে ৬২ রানে অলআউট হওয়ার বাজে অভিজ্ঞতা রয়েছে বাংলাদেশের। ছয় ইনিংসের মধ্যে কেবল একবার দুইশ ছাড়াতে পেরেছে তারা। ২০০৭ সালে ওই মাঠে নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯৯ রান করেছিল বাংলাদেশ। তারপরও ওই ম্যাচটিতে বাংলাদেশ হেরেছিল ইনিংস ও ৯০ রানের ব্যবধানে।
অনেক দুর্বল পরিসংখ্যান থাকলেও আগামী বুধবার ভালো কিছু করার প্রেরণা হতে পারে শততম টেস্ট। মুশফিকরা অবশ্যই চাইবেন গলের ব্যর্থতা ভুলে কলম্বোতে ঘুরে দাঁড়াতে। তাদের আশা শততম টেস্ট জিতে কলম্বোতে ইতিহাস বদলে দেওয়ার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।