Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

থাইল্যান্ডের আর্থিক খাতে নারীরাই এগিয়ে

| প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : থাইল্যান্ডের আর্থিক খাতে নারীরাই এগিয়ে অছে। শিক্ষাক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের সাম্যাবস্থা এবং গণিতের প্রতি পক্ষপাতিত্ব- দুটোর মিশেলে থাইল্যান্ড হয়ে উঠেছে আর্থিক খাতে নারীর অগ্রসরতায় তৃতীয় দেশ। থাইল্যান্ডের আর্থিক খাতে পর্ষদ ও নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যে ৩১ শতাংশই নারী। সংখ্যাসাম্যের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও বৈশ্বিক মানদন্ডে থাইল্যান্ড অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে পূর্ব এশিয়ার দেশটির চেয়ে এগিয়ে আছে শুধু নরওয়ে ও সুইডেন। পরামর্শক সংস্থা অলিভার ওয়াইম্যানের সমীক্ষায় এ কথা জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে আর্থিক খাতে পর্ষদ ও নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যে নারী রয়েছেন ২০ শতাংশ। এ তালিকায় সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে জাপান। সে দেশের আর্থিক খাতে ঊর্ধ্বতন পদগুলোর মাত্র ২ শতাংশে নারীরা আসীন রয়েছেন। থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান কাশিকর্ন ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানের চার প্রেসিডেন্টের একজন হলেন কাট্টিয়া ইন্দ্রবিজয়। ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন পদে নিয়োগের জন্য তিনি প্রায়ই চাকরিপ্রার্থীদের সাক্ষাতকার নেন। বেশির ভাগ আবেদনকারীই নারীÑ বিষয়টি দেখে কাট্টিয়া অবাক হন। ব্যাংককে কাট্টিয়া ইন্দ্রবিজয়ের অফিসে বসে নিচে চাও ফ্রায়া নদী দেখা যায়। ৫১ বছর বয়সী এ ব্যাংকার সেদিকে তাকিয়ে বলেন, এমন নয় যে, নারী আবেদনকারীরা যাচাই-বাছাই ছাড়াই টিকে গেছেন। ব্যাপার হয়তো এই যে, নারীরা ব্যাংকিং ও ফিন্যান্সে বেশি আগ্রহী। ছেলেরা হয়তো অন্যান্য খাতে যেতে চান। প্রসঙ্গক্রমে অ্যাসোসিয়েশন অব ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজের প্রেসিডেন্ট ভোরাভান তারাপুম বলেন, পুরুষরা হয়তো আর্থিক খাতের চেয়ে আরো উত্তেজক ও চ্যালেঞ্জিং কাজ পছন্দ করেন। আর্থিক খাতের কাজে বেশি প্রয়োজন ধৈর্য, খুঁটিনাঁটি পর্যবেক্ষণ, সাবধানতা ও অক্ষরে অক্ষরে নিয়ম মেনে চলা। পুরুষদের কাছে এমন চাকরি বিরক্তিকর মনে হতে পারে। ভোরাভান তারাপুম বিবিএল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, নিয়োগের সময় বিবিএল কর্তৃপক্ষকে পুরুষদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হয়। নইলে নারীরাই প্রতিষ্ঠানে দাপট ভোগ করবেন। ভোরাভান তারাপুম আরো বলেন, আর্থিক খাতের চাকরি হচ্ছে সতর্ক ও যতœবান মানুষের জন্য। নারীর চরিত্রের সঙ্গে বিষয়গুলো বেশি যায়। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, থাইল্যান্ডের আর্থিক ও বীমা খাতে মোট কর্মীর ৫৭ শতাংশই নারী। এর পরও ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপক ও নির্বাহী পদের দুই-তৃতীয়াংশই পুরুষের দখলে। ব্যাংককে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) জেন্ডার, ইকুয়ালিটি ও নন-ডিস্ক্রিমিনেশন বিশেষজ্ঞ জনি সিম্পসন বলেন, কর্মী সংখ্যায় বেশি হলেও নারীরা ঊর্ধ্বতন পদে সংখ্যালঘু হয়ে আছেন। এ থেকে মনে হতে পারে, নারী হয়তো এখনো সাম্যাবস্থায় যেতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। জনি সিম্পসন আরো বলেন, সবক’টি খাত হিসাব করলে নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পদের ১০ শতাংশও থাই নারীদের অধিকারে নেই। এ থেকে বোঝা যায়, নারীকে এগিয়ে নিতে সব খাতেই আরো অনেক কিছু করার রয়েছে। বøুমবার্গ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ