চট্টগ্রাম ব্যুরো : অনেকটা ‘অসময়ে’র বর্ষণে সিক্ত হয়েছে সারাদেশ। গতকাল (রোববার) সমগ্র দেশেই মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেই সাথে দমকা হিমেল হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ সূত্র জানায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশের প্রভাবে এবং পূবালী বায়ুমালার সাথে পশ্চিমা বায়ুর মিলন দেশের সর্বত্রই ফাল্গুনী বৃষ্টিপাত হয়েছে। কোথাও কোথাও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। অবশ্য আজ-কাল বৃষ্টিপাতের মাত্রা ক্রমেই কমে আসতে পারে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ১৪৬ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকায় ৪৭ মিমি, চট্টগ্রামে ৩০ মিমি, ময়মনসিংহে ২৫ মিমি, সিলেটে ২৮ মিমি, রাজশাহীতে ২২ মিমি, রংপুরে ১৯ মিমি, খুলনায় ৪৫ মিমি, বরিশালে ২৫ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে।   
এদিকে লঘুচাপের বর্ধিতাংশের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলভাগ সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম  ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দুয়েক জায়গায় দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি এবং রাতের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হ্রাসের মধ্যদিয়ে আবহাওয়ায় উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এতে করে বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলভাগ ও সমুদ্র বন্দরসমূহ ঝড়ো হাওয়ার সম্মুখীন হতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখানো হচ্ছে। গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারি সকল ট্রলার নৌযানকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।