পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহের লেনদেনে টপ টেন গেইনারে আর্থিক খাতের কোম্পানির আধিপত্য লক্ষ্য করা গেছে। এ তালিকায় ৬০ শতাংশ আর্থিক খাতের কোম্পানি। একই সঙ্গে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে সবসূচকে উত্থান হয়েছে। মূল্যসূচকসহ বাজার মূলধন ও আর্থিক লেনদেন বেড়েছে।
এ সময় গেইনারের শীর্ষে উঠে এসেছে প্রিমিয়ার লীজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স। কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ২০ দশমিক ৭৮ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় কোম্পানির এ দর বেড়েছে। টপ টেন গেইনারে উঠে আসা অপর কোম্পানিগুলোর মধ্যে যথাক্রমে- ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ১৮ দশমিক ১৮ শতাংশ, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ১৫ দশমিক ৭১ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের ১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ, ইন্টারন্যাশনাল লীজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের ১৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ, ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ১৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, জিএসপি ফাইন্যান্সের ১২ দশমিক ৬৯ শতাংশ, নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ১২ দশমিক ৪৯ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশ ও মোজাফ্ফর হোসাইন স্পিনিং মিলসের ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ দর বেড়েছে।
এ সময় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬৭২ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএসইএক্স শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৬২ শতাংশ ও ডিএসই ৩০ সূচক ২৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪২ শতাংশ বেড়েছে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইএক্স ৩৯ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৬৯ শতাংশ কমেছিল।
এদিকে গত সপ্তাহে মোট ৫ হাজার ৩৭০ কোটি ৬১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহে হয়েছিল ৫ হাজার ৩৫৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকার। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ০ দশমিক ২৩ শতাংশ। গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৯১ দশমিক ৪৭ শতাংশ ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৪.৩০ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৩.১২ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ১.১১ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে হয়েছে। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৭২ হাজার ৯১০ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকায়। অর্থাৎ গত সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ০ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৩৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৭টি বা ৪৪ দশমিক ১৪ শতাংশ কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৫২টি বা ৪৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ কোম্পানির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টি বা ১০ দশমিক ২১ শতাংশ কোম্পানির।
গত সপ্তাহে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ার। এ সময় কোম্পানির ২৪৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বারাকা পাওয়ারের লেনদেন হয়েছে ১৪১ কোটি ৯২ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ১৩৭ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জিপিএইচ ইস্পাত। লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে- ইসলামি ব্যাংক, বেক্সিমকো, আরএসআরএম স্টিল, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, কেয়া কসমেটিকস, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস ও সিটি ব্যাংক।
এছাড়া দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে ১ শতাংশ। বর্তমানে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৬ দশমিক ১৫ পয়েন্টে। যা গত সপ্তাহের শুরুতে ছিল ১৫ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট। অর্থাৎ পিই বেড়েছে ০ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ।
বর্তমানে খাতভিত্তিক হিসাবে ব্যাংকিং খাতের পিই অবস্থান করছে ১১ দশমিক ১৫ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ৩২ দশমিক ৯৭, সিরামিকস খাতে ২৬ দশমিক ৪৮, প্রকৌশল খাতে ২২ দশমিক ৮১, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ২২ দশমিক ৪৬, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ২২ দশমিক ৯১, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ১৩ দশমিক ১২, বীমা খাতে ১৯.৯৯, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৩১ দশমিক ৪৯, বিবিধ খাতে ২৯ দশমিক ১১, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১৯ দশমিক ৩৬, সেবা ও আবাসন খাতে ১৯ দশমিক ০৯, ট্যানারী খাতে ১৯ দশমিক ৩৫, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৯ দশমিক ৭৬, বস্ত্র খাতে ১৯ দশমিক ৫৬ এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাত ২৮ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।