Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সৌম্য-তামীমের ব্যাটিংয়ে নতুন রেকর্ডের হাতছানি

| প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শামীম চৌধুরী : গল (শ্রীলঙ্কা ) থেকে :
শ্রীলংকা : ৩৯৪ও ২৭৪/৬ ডি.
বাংলাদেশ ঃ ৩১২ও ৬৭/০
(চতুর্থ দিন শেষে)
যে গল’এ ৪ বছর আগে কর্তৃত্ব করে জয়ের সমান ড্র’ করেছে বাংলাদেশ, সেই গল’র ফিরতি টেস্টেও দারুণ কিছুর হাতছানি দিচ্ছে মুশফিকুরদের। প্রথম তিনদিন স্বাগতিকদের হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচটি পঞ্চম দিনের শেষ ঘণ্টায় বদলে দিয়েছে ম্যাচের রঙ। সৌম্য-তামীমের ব্যাটিংয়ে উইকেটহীন ৬৭ রানে রোমাঞ্চকর সমাপ্তির আভাসই দিচ্ছে। চতুর্থ ইনিংসে ৪৫৭ রানের টার্গেট পেরিয়ে  জিতলে বিশ্বরেকর্ড, আর পঞ্চম দিন কোনোমতে কাটিয়ে পার করলেও গল এ বাংলাদেশ করবে রেকর্ড।
চতুর্থ ইনিংসে তিন অংকের চ্যালেঞ্জ এখানে অতীতে কেউ দিতে পারেনি পাড়ি। ২০১৪ সালে চতুর্থ ইনিংসে পাকিস্তানের দেয়া ৯৯ রানের চ্যালেঞ্জ শ্রীলংকার পেরুনোই এখানে সেরা। ২০১২ সালে চতুর্থ ইনিংসে ৩৪০ রানের টার্গেট পাড়ি দিতে যেয়ে ২৬৪ তে অল আউট হতে হয়েছে ইংল্যান্ডকে। একই বছর ৫১০ রানের চ্যালেঞ্জে ৩০০তে এসে ইনিংস গুটিয়ে ফেলার অতীত আছে পাকিস্তানের। চতুর্থ ইনিংসে ১২৫ ওভারের চ্যালেঞ্জ নেয়ার অতীতও নেই কারো। গল এ চতুর্থ ইনিংসে ১১৪ ওভারের বেশি খেলার রেকর্ড নেই যেখানে কারো, সেখানে ১২৫ ওভারের চ্যালেঞ্জ টাও যে কম নয়। পঞ্চম দিনে এসব সমীকরণও মেলাতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে।
৪১৮’র বেশি চেজ করে জেতার অতীত নেই কারো। তাই এই দুঃসহ মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে চতুর্থ দিনের শেষ ঘণ্টা যেভাবে উইকেটহীন পাড়ি দিয়ে স্কোরবোর্ডে জমা  করেছে ৬৭/০, বাংলাদেশ, তাতে অনেক কিছুর সম্ভাবনাই এখন দেখছে বাংলাদেশ। জয় থেকে বাংলাদেশ দূরে দাঁড়িয়ে ৩৯০ রান, ড্র’র জন্য পার করতে হবে পঞ্চম দিনের পুরোটা। ৪র্থ ইনিংসের চ্যালেঞ্জে ২০০৯ সালে গ্রেনাডায় ২১৫ রানের টার্গেট ৪ উইকেট হাতে রেখে এবং ২০১৪ সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের ১০১ রানের টার্গেটে ৩ উইকেটের জয়ও আছে বাংলাদেশের। চতুর্থ ইনিংসের চ্যালেঞ্জে ২০০৯ সালে গ্রেনাডায় ২১৫ রানের টার্গেট ৪ উইকেট হাতে রেখে এবং ২০১৪ সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের ১০১ রানের টার্গেটে ৩ উইকেটের জয়ও আছে বাংলাদেশের।  ২০০৮-৯ মৌসুমে মিরপুর চতুর্থ  ইনিংসে শ্রীলংকার ৫২১ রানের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ৪১৩ পর্যন্ত স্কোর টেনে নেয়ার অতীত আছে বাংলাদেশের।
 টেস্টে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং প্রতিপক্ষকে ভড়কে দেয়ার কৌশল। অন্তত প্রতিপক্ষকে ব্যাকফুটে নামিয়ে আনতে আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং থেকে বেরিয়ে আনতে এই কৌশলটাও একটা অস্ত্র। সে অস্ত্রই প্রয়োগ করেছেন সৌম্য। পেরেরাকে এক ওভারে ২টি চার,হেরাথকে মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কায় হেরাথকে জানিয়ে দিলেন আক্রমণাত্মক ফিল্ডিংয়ের প্রাপ্য সাজা এটাই। এই কৌশলে মাত্র ৪৪ বলে তৃতীয় টেস্ট ফিফটি উদযাপনে শ্রীলংকাকে দিয়েছেন ভড়কে সৌম্য। ৪৭ বলে ৫৩ রানে অবিচ্ছিন্ন আছেন তিনি, পাশে ১৩ রানে তামীম। প্রথম ইনিংসে ১১৮ রানের এই জুটিতেই ৩’শ পেরিয়েছে বাংলাদেশ। সেই জুটিতেই আবার করতে হচ্ছে ভর।
লোকাল হিরো থেরাঙ্গাকে (১১৫) হোমে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির স্বাদ দিতে হবে, এই প্রতিজ্ঞায় তৃতীয় ইনিংসে বিলম্বিত ইনিংস ঘোষণা (২৭৪/৬ডি.), টি ব্রেকের পরও ১৫ মিনিট ব্যাটিংয়ে কাটিয়ে দেয়ায় মূলত: লাভ হয়েছে বাংলাদেশ দলের। ২০০৫ সালে চতুর্থ ইনিংসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪২ ব্যাটিংয়ে পার করার অতীত থেকেও  টনিক নিতে পারে নাফিসের অনুজ তামীম এবং তামীমের টিমমেটরা। চতুর্থ দিনে ওভারপ্রতি ৪.৪৬ হারে রানে শ্রীলংকাকে ভড়কে দেয়া দিনটিতে ২টি ক্যাচ ড্রপের  অপবাদ গেছে ঘুঁচে। সাকিবের ২৫ ওভারের লম্বা স্পেলে ২ উইকেট (২/১০৪), মিরাজের ও সম সংখ্যক শিকার (২/৭৭), তৃতীয় ইনিংসে শ্রীলংকাকে ওভারপ্রতি ৪’র নীচে (৩.৯৭) রাখতে পারাও কম কৃতিত্বের নয়। পঞ্চম দিনে হেরাথ, সান্দমানকে সামাল দিতে পারার চ্যালেঞ্জও যে নিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।



 

Show all comments
  • Pabel ১১ মার্চ, ২০১৭, ১০:৪৩ এএম says : 0
    dekha jak tara ki korte pare
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ